সংক্ষিপ্ত

আমেঠি ও রায়বরেলিতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সুনীল কালুগোলুর রিপোর্টে জল্পনা তুঙ্গে।

 

রায়বরেলি ও আমেঠি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে গুঞ্জন জিয়ে রেখেদিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর এই দুটি কেন্দ্র এখনও গান্ধী পরিবারের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত এই দুটি কেন্দ্র নিয়ে মুখ খোলেননি। লোকসভা নির্বাচনের জন্য রবিবার ১১টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সেখানে ফাঁকা রয়েছে আমেঠি ও রায়বরেলি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম।

পঞ্চম পর্যায় অর্থাৎ ২০ মে এই দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। সেই কারণে আগামী ২৬ এপ্রিল এই দুই কেন্দ্রের মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। আবার ২৬ এপ্রিলই কেরলের ওয়েনাডে নির্বাচন। এই কেন্দ্রে প্রার্থী রাহুল গান্ধী। সেই কারণেই রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুই কেন্দ্রের জল্পনা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের ভোট কুশলী সুলীন কানুগোলুর রিপোর্টও হাতে পেয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কংগ্রেসের সূত্রের খবর, আমেঠি ও রায়বরেলির কংগ্রেস কর্মীরা গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। স্থানীয় জনতাও তাই চইছেন। তাই রাহুলের আমেঠি ফেরার ইচ্ছে না থাকলেও তাঁকে দলীয় নেতাদের কথা আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হতে পারে। ২০১৪ সালে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানিকে হারিয়েছিলেন রাহুল। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রেই রাহুলকে হারিয়ে জয়ী হন স্মৃতি ইরানি। রাহুল এখনও আমেঠির প্রার্থী না হলেও ভোট প্রচারে রাহুলকেই নিশানা করেছেন স্মৃতি ইরানি। তাই বলা যেতেই পারে তাদের মধ্যে ছায়া যুদ্ধ চলছে।

অন্যদিকে আমেঠিতে স্মৃতি ইরানিকে দাঁড় করালেও এখনও পর্যন্ত রায়বরেলি নিয়ে কোনও কথা বলেনি বিজেপি। দেয়নি প্রার্থী। রায়বরেলি সনিয়া গান্ধীর কেন্দ্র। তাই সনিয়া রাজ্যসভার সাংসদ হোয়ার পর থেকেই এই কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রার্থী হবেন এমনটা জল্পনা কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢ়রাও প্রার্থী হতে চেয়েছেন। তবে সম্প্রতি এই দুটি কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসেনি কংগ্রেস। তাই আলোচনা বা গুঞ্জনের পারদ চড়ছেই।