সংক্ষিপ্ত
লখিমপুর কান্ডে আলোচনা চেয়ে সংসদে নোটিশ দেন রাহুল গান্ধী। তবে লাভ হয়নি।
লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের ওপর অত্যাচারের যে ঘটনা( lakhimpur kheri violence) ঘটেছে,তাতে অভিযুক্তদের অবাধে ঘুরে বেড়াতে দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi govt)। যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। এদিন লখিমপুর কান্ডে আলোচনা চেয়ে সংসদে নোটিশ দেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। তবে লাভ হয়নি। গোটা বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে এড়িয়ে যায় কেন্দ্র। এরপরেই সরব হন রাহুল। তিনি বলেন লখিমপুর খেরির অপরাধীদের কোনও মূল্যেই ছাড়া যাবেনা। কিন্তু কেন্দ্র ঠিক সেই কাজটাই করছে।
রাহুল বলেন, অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিত। এর আগে লখিমপুর মামলা নিয়ে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মহুয়া মৈত্র লাখিমপুর খেরিকাণ্ডে সিট-এর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেনে সিট বলেছে, লাখিমপুর খেরি পূর্ব পরিকল্পিত একটি ঘটনা। এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়। আশিস মিশ্র এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। তারপরই মহুয়া মৈত্র মোদীর নাম না করেই তাঁকে নিশানা করেছেন। বলেছেন 'গঙ্গায় ডুব অনেক হয়েছে, এবার ন্যায়বিচার করুন। অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করুন। গোটা ঘটনার ইতি টানুন।'
উল্লেখ্য, যে লখিমপুর খেরির ঘটনা গোটা দেশকে নড়িয়ে দিয়েছিল, তা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক (pre-planned conspiracy)। রিপোর্টে এমনই তথ্য দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(Special Investigation Team) বা সিট(SIT)। এই ঘটনা নেগলিজেন্স বা অবহেলার কোনও ঘটনা নয় বলেও এদিন রিপোর্টে জানিয়েছে সিট। এছাড়াও ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন ধারা দাখিল করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (CJM) কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছে সিটের পক্ষ থেকে, যাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য হয়।
SIT তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর গত সপ্তাহে সিজেএম-এর আদালতে আইপিসির ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ ধারার বদলে ওয়ারেন্টে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন করেন। তার আবেদনে, তদন্তকারী আধিকারিক উল্লেখ করেছেন যে ঘটনাটি "সুপরিকল্পিত এবং একটি ইচ্ছাকৃত অপরাধ"।
তদন্তকারী অফিসার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা), ৩২৬(স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করা), ৩৪ (একই উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিয়োজিত হওয়া) যুক্ত করার অনুরোধ করেছেন। সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়েছে ধারা ২৭৯ (তাড়াতাড়ি গাড়ি চালানো), ৩৩৮ (যিনি তাড়াহুড়ো করে বা অবহেলা করে কোনও কাজ করে কোনও ব্যক্তিকে গুরুতর আঘাত করেন) এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ এ(অবহেলায় মৃত্যু ঘটান)-এর মতো ধারাগুলিকে।