সংক্ষিপ্ত
২০২৪ সালের নির্বাচনের মূল ইস্যুগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরে বিতর্কের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সেই কথা জানিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর, হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এপি শাহ, প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদীকে বিতর্কে আহ্বান জানিয়েছেন। তাতেই প্রথম সাড়া দিলেন রাহুল গান্ধী।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর, হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এপি শাহ, প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম ২০২৪ সালের নির্বাচনের মূল ইস্যুগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরে বিতর্কের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। গত ৯ মে চিঠিতে প্রতিটি পক্ষ যেসব অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে তার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'আমরা বিশ্বাস করি যে একটি নির্দলীয় ও অ-বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্মে একটি পাবলিক বিতর্কের মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগগুলি শুনতে দেশের নাগরিকরা অনেক বেশি উপকৃত হবে।' এই ঘটনার মাত্র এক দিন পরেই রাহুল গান্ধী বিতর্কের আমন্ত্রণ গ্রহণের করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি নিজে বা কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করতে পারলে খুশি হবেন।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে আপনার আমন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সম্মত যে এই ধরনের বিতর্ক দেশের মানুষকে আমাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করবে এবং তাদের নির্বাচন করতে সাহায্য করবে। আমাদের নিজ নিজ দলকে দায়ী করা কোনও অপ্রমাণিত অভিযোগ থামিয়ে দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।' তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের পছন্দের বা বিরোধী দল বছথে দুই পক্ষের কথা শোনার অধিকার রয়েছে। তিনি ও কংগ্রেস সভাপতি এজাতীয় আলোচনায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, বিতর্কের পরিধি ও বিন্যাস নিয়েও আলোতনা করা যেতে পারে। পরেই তিনি যোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এইজাতীয় বিতর্কে অংশ নিতে সম্মত হন কিনা তাই এখন দেখার।
আরও পড়ুনঃ
'রাজ্যপালের পাশে বসাও পাপ!', শ্লীলতাহানি ইস্যুতে মমতার ঘোষণা আর যাবেন না রাজভবনে
কোটিপতি শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুর হাতে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার, মাথার ওপর দেনা লক্ষাধিক টাকার