সংক্ষিপ্ত

বিতর্ককে ভয় পেয়ে কেন্দ্র কোনও রকম আলোচনা চাইছে না। এমনই দাবি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।

কোনও আলোচনাই (discussion) করা হল না। অথচ সংসদে বাতিল করে দেওয়া হল কৃষি আইন (farm laws repeal)। কেন্দ্রের এই ধরণের হঠকারী সিদ্ধান্তই প্রমাণ করে বিতর্ককে ভয় পেয়ে কেন্দ্র কোনও রকম আলোচনা চাইছে না। এমনই দাবি কংগ্রেস নেতা (congress leader) রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। আলোচনা ছাড়া কৃষি আইন বাতিলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন এনডিএ সরকার সব রকম আলোচনা থেকেই পালাতে চাইছে।  

সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাহুল গান্ধী বলেন যে পদ্ধতিতে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা একনায়কতন্ত্র মনোভাবের পরিচায়ক। কোনও গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনা ছাড়া একক সিদ্ধান্ত আরোপিত হতে পারে না। এই কংগ্রেস নেতা আরও জানান যে Farm Laws Repeal Bill 2021 পাস করার অর্থ তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্র বাধ্য হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতীয় কৃষকদের বিজয় এবং দেশের সাফল্য।

এদিকে সংসদের দুই কক্ষেই আজ ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস হওয়ায় সরব হয় কংগ্রেস। সোমবার বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই এই আইন প্রত্যাহার করারা জন্য আনা বিল পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র। সকালে মুলতুবি হওয়ার পর ফের অধিবেশন শুরু হয় বেলা ১২টায়। ১২টা বেজে ৬ মিনিট নাগাদ টেবিলে আসে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ১২টা বেজে ১০ মিনিটে পাস হয়ে যায় সেই বিল। ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস করা হয় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলির দলনেতারা মঙ্গলবার এনিয়ে একটি বৈঠক করবেন। সেখানে প্রায় ১৪টি দল উপস্থিত থাকবে। তবে সেই বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দেবে কিনা তা জানা যায়নি। সেখানেই এনিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।'

এদিকে, অসংসদীয় আচরণের জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ১২ জন সাংসদকে। কংগ্রেস ও সিপিএমের পাশাপাশি সেই তালিকায় দুই তৃণমূল সাংসদেরও নাম রয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আর সেই কারণেই গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই এই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। 

বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সংসদে অভিযোগ জানিয়েছিল কেন্দ্র। ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পাশাপাশি সংসদের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করারও অভিযোগ আনা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই তারপরই অভিযুক্ত সাংসদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে সংসদ।