সংক্ষিপ্ত

সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে যোগী বলেন উত্তরাখণ্ডের ভোটাররা যেন 'বেকার' কংগ্রেসকে ভোট না দেন। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা।

রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) কটাক্ষ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Uttar Pradesh Chief Minister Yogi Adityanath)। সোমবার যোগী বলেন যে কংগ্রেসের এই ভাই ও বোনই দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট (enough to ruin Congress)। কংগ্রেসকে ধ্বংস করার জন্য অন্য কারো প্রয়োজন নেই। 

সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাতকারে যোগী বলেন উত্তরাখণ্ডের ভোটাররা যেন 'বেকার' কংগ্রেসকে ভোট না দেন। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা। স্কুলে হিজাব পরা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে যোগী বলেন দেশ শরিয়ত আইন মেনে চলে না, সংবিধান অনুযায়ী চলে। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এটা নতুন ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারত। এই নতুন ভারতে, উন্নয়ন সবার জন্য হয়। 

আজ পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভা, কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা জলন্ধর

ইসরোর পিএসএলভি-সি৫২-র সফল উৎক্ষেপণ, দেখুন সেই ভিডিও

হিজাব ইস্যুতে কংগ্রেস নেতার ধর্ষণ মন্তব্য, নারীদের নিয়ে উপহাস বলল নেটিজেনরা

তিনি বলেন, সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাসের মূলমন্ত্র নিয়ে কাজ করে। এটি সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস নীতি নিয়ে কাজ করে। নতুন ভারত সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে, শরীয়ত আইন অনুযায়ী নয়। 

আদিত্যনাথ কর্ণাটক হিজাব বিতর্ক সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন যে স্কুলগুলিতে একটি সঠিক পোষাক কোড অনুসরণ করা উচিত। তিনি কখনই তাঁর রাজ্যে সাধারণ মানুষ বা কর্মীদের গেরুয়া পোশাক পরতে বলেননি। তাঁর রাজ্যে নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দে পোশাক পরা হয়।

এদিন তিনি বলেন "আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা চালানো উচিত। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস, আমাদের মৌলিক অধিকার, আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ দেশ বা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না।"

হিজাব একটি মৌলিক অধিকার এবং একদিন হিজাব পরা মেয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে বলে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আদিত্যনাথ বলেন," দেশের প্রত্যেক মেয়ের স্বাধীনতা এবং অধিকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী তিন তালাক প্রথা বন্ধ করিয়েছেন। ন্যায়বিচার এবং মেয়েদের সম্মান এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কেবল বলতে পারি যে দেশ শরিয়ত অনুযায়ী চলবে না, সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে। যখন সিস্টেম সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবে, তখন প্রতিটি মেয়ে সুরক্ষিত, সম্মানিত এবং স্বাবলম্বী হবে।"