সংক্ষিপ্ত
- এক বছরে ফাইন আদায়ের পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশি
- রেকর্ড গড়লেন সেন্ট্রাল রেলের এক টিকিট পরীক্ষক
- ২২,৬৮০ জনের থেকে এই ফাইন সংগ্রহ করেছিলেন
- আরও ৩ টিকিট পরীক্ষকের ফাইন সংগ্রেহর পরিমাণ ১ কোটির বেশি
রেকর্ড গড়ে ফেললেন সেন্ট্রাল রেলের এক টিকিট পরীক্ষক। এসবি গালান্ডে নামে ওই পরীক্ষক ২০১৯ সালে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার জন্য ২২,৬৮০ জনের থেকে ফাইন করেছিলেন। সেই ফাইনের পরিমাণ জানলে চমকে উঠবেন আপনিও। তাঁর ফাইন কালেকশনের পরিমাণ ছিল ১.৫১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: দেখা নেই শরদ পওয়ারের নিরাপত্তারক্ষীদের, মোদী সরকারকে দুষছে এনসিপি
গালান্ডে ছাড়া সেন্ট্রাল রেলের আরও তিন টিকিট পরীক্ষকের ফাইন কালেকশেনর পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে এম এম শিণ্ডে এবং ডি কুমার দুজনেই গালান্ডের মত সেন্ট্রাল রেলের ফ্লাইং স্কয়াডের সদস্য। অন্যদিকে রবি কুমার মুম্বই ডিভিশনের মুখ্য টিকিট পরীক্ষক।
গাল্ডান্ডে , শিণ্ডে এবং ডি কুমার এই বিপুল পরিমাণ ফাইন সংগ্রহ করেছেন দূরপাল্লার ট্রেনে বিনা টিকিটে ওঠা যাত্রীদের থেকে। অন্যদিকে রবিকুমার মুম্বইয়ের শহরতলীতে চলা লোকাল ট্রেন থেকেই সংগ্রহ করেছেন এক কোটি টাকার বেশি ফাইন।
আরও পড়ুন: তাঁর উপর নদরদারি চালাচ্ছেন বারাক ওবামা, ছবি পোস্ট করে ট্রোলের শিকার ট্রাম্প
শিণ্ডে ১৬,০৩৫ জন বিনা টিকিটের যাত্রীর থেকে সংগ্রহ করেন ১.০৭ কোটি টাকার ফাইন। ডি কুমারের ফাইন সংগ্রেহর পরিমাণ ১.০২ কোটি কোটি টাকরা। ১৫,২৩৪ জন যাত্রীর থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছেন তিনি। অন্যদিকে রবিকুমার ২০,৬৫৭ জন যাত্রীর থেকে সংগ্রহ করেন ১,৪৫ কোটি টাকার ফাইন।
বিনা টিকিটে রেলযাত্রা করার মতো মানুষের সংখ্যার যে এখনও এ দেশে এখনও প্রচুর, তা এই টিকিট চেকারদের ফাইন কালেকশনের পরিমাণ দেখলেই বোঝা সম্ভব ৷
গত বছর সেন্ট্রাল রেলে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭.৬৪ লক্ষ। তাদের থেকে সংগ্রহ করা ফাইনের পরিমাণ ১৯২.৫১ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ফাইন সংগ্রেহর পরিমাণ ছিল ১৬৮.৩০ কোটি টাকা। বিনা টিকিটে ভ্রমণ করেছিলেন ৩৪.০৯ জন যাত্রী।