সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘ ৩৮ বছরের রেওয়াজ ভেঙে কি ভাঞতে পারবে গেলহেট সরকার? শনিবারই রায় দেবে জনতা।

এবার কি তবে রদ বদলের পালা রাজস্থানে? গত বছরের নভেম্বর মাসেই এই ক্ষমতার বদল হয়েছিল উত্তর ভারতের আর এক রাজ্য হিমাচলে। তবে নিজেদের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ধরে রেখে ৩৭ বছরের ধারাবাহিকতা মতোই পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের রীতি বজায় এখেছিল হিমাচল। এবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজস্থান। দীর্ঘ ৩৮ বছরের রেওয়াজ ভেঙে কি ভাঞতে পারবে গেলহেট সরকার? শনিবারই রায় দেবে জনতা। 'রাজ' বদলের রেওয়াজ ধরে রেখে যদি রাজস্থানে ক্ষমতার হাত বদল ঘটে তবে তা ২৪-এর নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের জন্য খুব সুখকর হবে না। রাজস্থানের আজকের ফলাফলের উপর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অবস্থানের অনেকটাই নির্ভর করছে। আত তা না হলে সেমি ফাইনালেই বড় ধাক্কা খাবে গান্ধী-মল্লিকার্জুন খাগড়েরা।

বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে রাজস্থানের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে ইতিহাস সাক্ষী জনমত সমীক্ষা বা বুথফেরত সমীক্ষার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মেলে না আসল ফলাফল। শনিবার এই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবে রাজস্থানের জনতা। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ১০১। জনমত সমীক্ষা বলছে পাঁচ বছর অন্তর রাজ বদলের রীতি মেনে চললে জয়পুরের কুর্সি দখল করতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে এবিপি-সি ভোটার জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস, ম্যাজিক ফিগার পেরোবে তো বটেই, বরং ১১৪ থেকে ১২৪টি আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে। ভারতীয় জনতা পার্টি। ৬৭ থেকে ৭৭টি আসন পেতে পারে কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্য দলগুলির হাতে যেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। তবে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে নির্দল এবং ছোট দলগুলিই নির্ণায়কের ভূমিকা নেবে।

এবারের রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোএক্সধী দল বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ১৯৯টি আসনে। কংগ্রেস লড়েছে ১৯৮টি আসনে। বিএসপি ১৮৫, সিপিএম ১৭, সিপিআই ৯ আসনে লড়ছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলপি) এ বার এনডিএ ছেড়ে রাবণের দলের সঙ্গে সমঝোতা করে ৭৮ আসনে লড়ছে।‘ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি’ (বিটিপি) প্রার্থী দিয়েছে ১৭টি কেন্দ্রে। মরুরাজ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে আজ ১,৮৬৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে জনতা।