সংক্ষিপ্ত
সুইমিং পুলে মহিলা ও তারঁ শিশু সন্তানের সামনে অশালীন আচরণ রাজস্থানের পুলিশ কর্তার। সেই ভিডিও প্রকাশ হতেই গ্রেফতার ২।
মহিলা কনস্টেবল ও তাঁর পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানের সঙ্গে সুইমিং পুলে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখা গিয়েছিল রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ও রাজস্থান পুলিশ সার্ভিসের এক কর্তাকে। সেই ভিডিও নিমেশেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই পুলিশ কর্তা ও মহিলা কনস্টেবলকে সময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
রাজস্থান সরকারের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক আশোক রাঠোর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্তা হীরালাল সায়নি। সার্কেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে আজমির জেলার উদয়পুরের একটি রিসর্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ওই পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ ও শিশু সুরক্ষা আইন পকসো( POCSO) র অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে এটি অপরাধ কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রিয় জনের আঘাতে ভেঙে গেছে মন, ভাঙা-হৃদয় জুড়তে এই ১০টি টিপস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ধর্ষণের পর যোনিতে রড ঢুকিয়ে নৃশংসতার চরম নিদর্শন, মুম্বই-এর ঘটান ফেরালো দিল্লি গণধর্ষণের ভয়াবহতা
যে ভিডিও ক্লিপগুলি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ কর্তা সায়নি একটি সুইমিং পুলে কনস্টেবলের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত ছিলেন। সেই সুইমিং পুলেই মহিলা ৫ বছরের সন্তান উপস্থিত ছিল। শিশুর সামনেই কনস্টেবলের সঙ্গে যৌনক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ কর্তা।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ কর্তা দাবি করেছেন ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি জাল।যদিও মহিলা কনস্টেবলের স্বামী পলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ২০০১ সালে বিয়ে করেছিলেন। ২০০৮ সালে মহিলা পুলিশে চাকরি পান। ১৩ জুলাই তিনি ভিডিওটি প্রথম দেখেন। স্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপেই প্রথম ভিডিওটি দেখেন। সেখানে সায়নি উপস্থিত ছিলেন। সেই পুলে মহিলা ও তাঁর সন্তানও ছিল। মহিলা তাঁর সন্তানকে ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলেন। আর সায়নি শিশুটির সামনেই তাঁর স্ত্রীকে খুব খারাপ ভাবে স্পর্শ করেছিলেন। কনস্টেবলের স্বামীর অভিযোগ সায়নি তাঁর সন্তানের গোপনাঙ্গে হাত দিয়েছিলেন।
মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, তিনি অগাস্ট মাসে প্রথম নাগৌর জেলার চিটওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সেইসময় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সায়নি ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চিটাওয়ার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজস্থানের শিশু সুরক্ষা বিভাগ তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে।