সংক্ষিপ্ত
ইলেকট্রনিস্ক, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ন্যাসকম আয়োজিত 'ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট'এর ১৩ তম সম্মেলনে পরবর্তী কৌশল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) চালু করার পর থেকেই ভারত গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্সের ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে। ৫০টি বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনী সংস্থার ৭০ শতাংশেরও বেশি ভারতে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। ন্যাসকম (NASSCOM) আয়োজিত 'ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট' ( Design and Engineering Summit) এর ১৩ তম অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। তিনি আরও বলেছেন ভারত আগামী দিনে ট্রিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল অর্থনীতি রূপায়িত করার ক্ষেত্রেও মুখ্যভূমিকা গ্রহণ করেবে।
Mumbai Drug Case: ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকাসহ কতটা মাদক ছিল আরিয়ানদের সঙ্গে, জানাল NCB
কেরলের কাঁঠাল যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, আগামী বছর লক্ষ্য সিঙ্গাপুর থেকে জার্মানি
আরিয়ান খানই প্রথম নন, এক নজরে দেখুন মাদককাণ্ডে জড়িয়ে থাকা ১০ বলিউড সেলেবকে
ইলেকট্রনিস্ক, তথ্যপ্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর ন্যাসকম আয়োজিত 'ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সামিট'এর ১৩ তম সম্মেলনে পরবর্তী কৌশল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন। ৬-৭ অক্টোবর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল, বিশেষ গবেষণা, উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ তৈরি করা আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা করা। পাশাপাশি ডিজিটাল পণ্যের ব্যবসায়িক স্থায়িত্বকে সুনিশ্চিত করা।
রাজীব চন্দ্রশেখর তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে, বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভপলমেন্ট সেক্টর ৩১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রাজস্ব আয় করে। এক হাজারেরও বেশি বিশ্বব্যাপী কোম্পানি রয়েছে যারা বিভিন্ন সেক্টরে প্রোডাক্ট তৈরির জন্য ভারতের সংস্থা স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেছেন ৫০টি শীর্ষ স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার মধ্যে ১২টি প্রধান কার্যালয় ভারতে রয়েছে। ৪৪টি সংস্থা ভারত থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিচালনা করে। ৫০ টি উদ্ভাবনী সংস্থার ৭০ শতাংশেরও বেশি গবেষণাগার রয়েছে এই দেশে। তিনি আরও বলেছেন 'আমরা যেসব পণ্য ব্যবহার করি তার অধিকাংশই ইন্ডিয়া ইনসাইড'। অর্থাৎ ভারতে তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সেরা সময় আসেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। উৎপাদন, প্রকৌশল, আর ডিজিটালাইজেশনের সুযোগগুলি আগামী ৫ বছরে দেশের ট্রিলিয়ন ডলার ডিজিটাল অর্থনীতির বাস্তবায়িত করেত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন মহামারি কারণে একটি বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে। যা কন্টাক্টলেস সিস্টেম, বুদ্ধিমত্তা, বিশ্লেষণ আর সফটওয়্যার নেতৃত্বাধীন সিস্টেমের ওপর নির্ভর করছে। পন্য তৈরির পাশাপাশি পরিবেশণের নতুন সুযোগও তৈরি করেছে।রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন এই ইভেন্টের একটি লক্ষ্য হল আগামী দিনে ভারতে নেতৃত্বের স্থানে তুলে আনা। পাশাপাশি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের জন্য নতুন নতুন চিন্তাভাবনার রদস সংগ্রহ করা।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া চালু করার পর থেকে ভারত ক্রমশই এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ভারত রয়েছে ৪৬ তম স্থানে। ২০১৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ৬৬তম। সেখানে থেকে কুড়ি ধাপ এগিয়েছে ভারত। ভারতের এই সাফল্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের আরও উৎসাহিত করবে। ২০২১ সালে ২৭টি ইউনিকর্ন আর ২০ বিলিয়নের তহবিল দেখেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে। এটি কেবলমাত্র স্টার্টআপ নয় সরকারি পিএলআই স্কিমেও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়ারের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি আগামী ৪ বছরে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও নিয়েছে।
বক্তব্যের শেষভাগে তিনি বলেন প্রযুক্তি ও দক্ষতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিবেচনা করে। তিনি আরো বলেন এখনই বিশ্ববাজারে ভারতের ৩২ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। ভারতের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ৫ বছরে ৫০ শতাংশ শেয়ার দখল করা। এগিয়ে চলার মনোভাব নিয়ে কাজ করে গেলে এই লক্ষ্যমাত্রা পার হতে পারবে দেশ। তেমনই মনে করেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।