সংক্ষিপ্ত

সম্প্রতি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোনও খবর প্রকাশ করা নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারই বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির অভিযোগকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

সম্প্রতি ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনও কন্টেন্ট আপলোড করা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। সেই নির্দেশিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা এই নির্দেশিকাগুলিকে ‘স্বৈরাচারী নির্দেশিকা’ বলে আখ্যা দিয়ে অভিযোগ তুলেছে যে, ‘মিথ্যা’ বলে দাগিয়ে দিয়ে কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রের বিরোধী সমস্ত ধরনের পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়ার পথ পরিষ্কার করেছে। সেই বিষয়েই মোট ৫টি পয়েন্টে বিরোধী নেতাদের একযোগে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।

সীতারাম ইয়েচুরির এই টুইটের পর রাজীব চন্দ্রশেখরের বক্তব্য, এই আইন ‘কঠোর’ তো নয় বটেই, এখানে মুছে ফেলার কোনও ক্ষমতাও নেই। এরপর আসছে আইটি ধারার সেকশন ৭৯। এই সেকশন অনুযায়ী ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকেই এই বিধান রয়েছে যে, এই আইনের অধীনে পড়া যেকোনও কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীদের এখন সেই ধারাকেই সাহায্য করতে হবে, সমস্ত সরকার সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর জন্য একটি নতুন বিশ্বাসযোগ্য ফ্যাক্ট চেকিং ইউনিট কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতাকারীরা ফ্যাক্ট চেকিং ফাইন্ডিং অনুসরণও করতে পারবেন, আবার উপেক্ষাও করতে পারবেন। যদি তারা ফ্যাক্ট চেকিংকে উপেক্ষা করার অপশন বেছে নেন, তাহলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ওই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে। এই যুক্তিগুলি উল্লেখ করে রাজীব বলেন, আমাদের লক্ষ্য হল ভারতের সব নাগরিকদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য নেটমাধ্যম গড়ে তোলা।

এরপর বিরোধীদের কটাক্ষ করে রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি এবং উদ্ধব ঠাকরে সহ অন্য সমস্ত ‘প্রিয় বন্ধুরা’ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক। বর্তমানে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের উদ্দেশ্য হল, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে মিথ্যা তথ্যের সরবরাহ বন্ধ করা এবং ফ্রি ইন্টারনেটের স্লোগানকে ভারতের বুকে প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে যেভাবে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প , নীতি এবং নির্দেশিকা নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ চলছে, তা ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে যাতে খতিয়ে দেখা হয় তার জন্য ভারতে পরিচালিত সমস্ত শীর্ষ স্থানীয় সামাজিক মাধ্যমগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই প্রসঙ্গেই রাজীব আরও এক ধাপ এগিয়ে আক্রমণ শানিয়ে টুইটে লিখেছেন, ‘যদি এতই মানুষের মুক্তমনা এবং স্বাধীন বক্তব্য পেশের কথা বলেন, তাহলে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আইটি আইনের ধারা ৬৬-র অধীনে আপনারা তরুণ কার্টুনিস্টদের জেলে পর্যন্ত পাঠিয়েছিলেন।’

আরও পড়ুন-

প্রেমিকাকে গভীর আলিঙ্গনে বেঁধে ঠোঁটে চুমু, দিল্লি মেট্রোর যুগল প্রশ্ন তুলে দিলেন ভারতের ‘প্রকাশ্যে ভালোবাসা’ প্রদর্শনের আইন নিয়ে

Weather Today: জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস, বৈশাখের আগেই চরম দাবদাহে পুড়বে পশ্চিমবঙ্গ

শুক্রবারের পর শনিবার আরও কমে গেল সোনার দাম, এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের কমতির দিকে হলুদ ধাতুর দর