সংক্ষিপ্ত
- গোমূত্র নিয়ে আবারও ছড়াল গুজব
- যোগগুরু রামদেবের ছবি দিয়ে ছড়ান হল গুজব
- বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান হয়েছে রামদেবের তরফ থেকে
করোনা রুখতে গোমূত্র কার্যকরী। এই দাবি তুলে দেশের নানা জায়গায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে গোমূত্র। যার প্রথম সারিতেই রয়েছে হিন্দু মহাসভা। এই অবস্থায় জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল যোগগুরু স্বামী রামদেবের একটি ছবি। ফেসবুকে রামদেব বাবার এই ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল চলতি মাসের শুরু থেকেই। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন যোগগুরু। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন চিকিৎসকরা। যাঁদের মধ্যে সকলেই মাক্স ব্যবহার করছেন। রেজা পাঠান নামে এক ইউজার তাঁর ফেসবুক থেকে এই ছবি পোস্ট করেন। রেজা পাঠান যে ছবির যে ক্যাপসান দিয়েছিলেন তা হল এই রকম, করোনা থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত গোমূত্র সেবনের কারণেই অসুস্থ হয়ে এইমস হাসপাতালে যেতে হয়েছিল রামদেবকে। রেজা পাঠানের পর এই ছবি আরও কয়েকজন রিপোস্ট করেন। রীতিমত ভাইরাল রামদেবের এই ছবিটা। সত্যি কি তাই? রামদের কি গোমূত্র সেবন করেছিলেন?
আরও পড়ুনঃ আতঙ্কের ৩০ দিন হল শুরু, সাবধান না হলে করোনা নিতে পারে ভয়ঙ্কর আকার
তদন্ত বলছে অন্য কথা। এই ছবিটি রামদেবেরই। কিন্তু ২০২০ সালের নয়। এই ছবিটি ২০১১ সালের। যখন রামদেব কালো টাকার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই সময় তিনি অনশনও করেছিলেন। দীর্ঘ অনশনে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন যোগগুরু। তখন তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল দেরহাদুনের একটি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হয়।
আরও পড়ুনঃ আজও হচ্ছে না আস্থভোট, কাল মধ্যপ্রদেশের মামলা শুনবে শীর্ষ আদালত
এই ছবি ভাইরাল হতেই রামদেবের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে মাঠে নেমেছেন তাঁর মুখমাত্র। তিনি জানিয়েছেন এই ছবিটি ২০১১ সালের। পাশাপাশি তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেন। তিনি আরও বলেন বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়এছেন রামদেব। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে উপায়ও বলে দিচ্ছেন তিনি। এখন তিনি রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে।
আরও পড়ুনঃ মুম্বইতে করোনা আক্রান্তের মৃ্ত্যু, ভারতে মৃতের সংখ্যা ৩
তবে গোমূত্র ও গোবর থেকে করোনা সেরে যাবে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে তাও যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক চিকিৎসকই দাবি করেছেন, গোমূত্র ও গোবর করোনার প্রতিষেধক, তা কখনই বলেনি বিজ্ঞান। এখনও পর্যন্ত এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনও তথ্য প্রমানও পেশ করতে পারেননি যা গোমূত্রের সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।