সংক্ষিপ্ত
আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডে। এবার স্বাস্থ্যকর্মীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করল এক নাবালক। তিন জন ধরা পড়লেও বাকিরা এখনও পলাতক।
একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। ইঞ্জিনিয়ার তরুণীর পর এবার লালসার শিকার এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। শনিবার বিকেলে ঝাড়খণ্ডের মানেন্দ্রগড়-চিরিমিরি ভরতপুর জেলার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৩২ বছরের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে ধর্ষণ করে এক নাবালক। মহিলার কপালে ছুরি ঠেকিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ বছর বয়সী এক অভিযুক্ত ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাগড়াখন্ড থানার সীমানার অধীনে একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করলেও,মূল অভিযুক্ত নাবালক ছেলেটি এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা এখনও পলাতক রয়েছে।
শুক্রবার নাবালক ও আরও তিন জন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিল। সেখানেই মহিলাকে তাঁরা ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয়। তারপর মহিলার হাত ও পা বেঁধে দেয়। তারপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মহিলাকে নাবালক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মহিলা জানিয়েছেন গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করেছে দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন মহিলা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও তফসিলি জাতি ও উপজাতি অত্যাচার প্রতিরোধ আইন, অস্ত্র আইন, তথ্য প্রযুক্তি আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে গতকালই ঝাড়খণ্ড পুলিশ জানিয়েছেন ২৬এর তরুণী ঝাড়খণ্ডের চাইবাসাতেই থেকেন। কর্মরতা মহিলা। করোনাভাইরাসের মহামারি কালের পর থেকেই তিনি বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করতেন। ঘটনার সূত্রবার বৃহস্পতিবার। তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বয়ফ্রেন্ডের টোকরাহাতু এয়ারস্ট্রিপে সাইকেল চালাতে গিয়েছিল। সেখানেই তাঁদের ওপর চড়াও ৮-১০ জন দুষ্কৃতীর একটি দল।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী তিনি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময়ই আট -১০ জন চড়াও হয়। তাদের মারধর করে। প্রমেকি তাঁর বন্ধুকে মেরে কাহিল করে দেয়। তারপর তাঁকে একটি নির্জন স্থানে জোর করে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পালা করে একের পর এক দুষ্কৃতীরা মহিলাকে যৌন নির্যাতন করে। পুলিশ জানিয়েছে বর্তমানে মহিলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানেও মহিলার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। মহিলার অবস্থা স্থিতিশীল।
গণধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, নিজের পাতা ফাঁদেই জড়িয়ে গেলেন গাজিয়াবাদের মহিলা
'অনুব্রত থাকলে আনন্দ পেতাম', সিউড়িতে গিয়ে জেলবন্দি তৃণমূল নেতাকে নিয়ে আক্ষেপ মন্ত্রী ফিরহাদের
মহিলাকে কানের গোড়ার সজোরে চড়, কর্নাটকের মন্ত্রীর নিন্দায় সরব নেটদুনিয়া- দেখুন ভিডিওটি