সংক্ষিপ্ত
লকডাউনের প্রথম দিকে রীতিমত স্তদ্ধ ছিল দেশের অর্থনীতি
শহরে কর্মসংস্থানে রীতিমত কোপ পড়েছিল
বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় আশার আলো
ধীর গতিতে বাড়ছে কাজের সুযোগ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল দেশ। আস তাতেই গোটা দেশে আর্থিনৈতিক উন্নয়নের গতি প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনের শুরু থেকে এপর্যন্ত অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে ,সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকোনমি বা সিএমআইই। সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মে মাসের থেকে জুলাই মাসে কাজের জায়গা কিছুটা হলেও উন্নতি লাভ করেছে। খুব ধীর গতিতে হলেও শহরেও বাড়ছে কাজের সুযোগ।
লকডাউনের পর থেকেই কাজের বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছিল। বহু মানুষই কাজ হারিয়েছিলেন। জুলাই মাসের আগে পরিস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। জুলাই মাসেও কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থার মুম্বইভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। কিন্তু নতুন সমীক্ষা বলছে অন্যকথা। পরিসংখ্যনে দেখা দেখা গেছে আগে অধিকাংশ কাজই এসেছে ত্রাণের মাধ্যমে।
সিএমআইই-র প্রধান মহেশ ব্যাসের কথায় সম্পূর্ণ ফলাফল অনুযায়ী জুনের তুলনায় জুলাই মাসে আরও একীকরণ ও লাভের দিকে অগ্রগতি ঘটেছে। কাজের জায়গায় অংশগ্রহণই শুধু বাড়েছে তা নয়, ১৯ জুলাই পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী কর্ম সংস্থানের হার বেড়েছে ৩৮.৪ শতাংশ।
জুন থেকেই কর্মসংস্থান কিছুটা হলেও গতি পেয়েছিল। কিন্তু তবে সেটা ছিল সম্পূর্ণ গ্রাম কেন্দ্রিক। শহুরে এলাকায় চাকরি প্রার্থীরা তেমন সুবিধে করতে পারছিলেন না। এই প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে বলেও আশা করা হচ্ছে।
পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সমীকরণ বদলে দেবে প্রকৃতি, প্রতিকূল অবস্থায় বিপর্যস্ত হতে পারে লালফৌজরা ...
জুলাইয়ের প্রথম তিন সপ্তাহের গড় কর্মসংস্থান ছিল ৩৭.৫ শতাংশ। যা প্রাক লকডানের তুলনায় এখনও দুর্বল। তবে এই সমীক্ষাতেই দেখা গেছে শহুরে ভারতে চাকরি প্রার্থীদের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে। কারণ সমীক্ষায় ধরা পড়েছে ১৯ জুলাই পর্যন্ত শহরে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৫.১ শতাংশ। এপ্রিল মাসে কর্মসংস্থানের গ্রাফ যে হারে নেমেছিল সেই অনুযায়ী এটি সর্বোচ্চ।
রাম মন্দিরের ২০০০ ফুট নিচে রাখা হবে টাইম ক্যাপসুল, বিতর্ক এড়াতেই এই আগাম ব্যবস্থা
সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী শহুরে কর্ম সংস্থানের বাড়ায় কয়েক লক্ষ মানুষের জীবনে স্বস্তি বয়ে এনেছে। কিন্তু চাকরির বাজারের মান অনেকটাই কমেছে। কম মাহিনের কাজে জায়গায় সুযোগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে দ্রুত হারে কর্ম সংস্থানের হার বাড়বে বলেই আশা করা যেতে পারে।