সংক্ষিপ্ত
হার মানবে ধুম থ্রিও। তবে এই কোনও বলিউডি ফিল্ম নয়, বেঙ্গালুরুতে আপাদমস্তক ফ্রডকেস। ৭.৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার ভয়াবহ অভিযোগ।
হার মানবে চুরির বলিউডি সিনেমাকেও। যদিও এটা কোনও বলিউডি ফিল্ম নয়, বেঙ্গালুরুতে আপাদমস্তক ফ্রডকেস। ৭.৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার ভয়াবহ অভিযোগ। পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানির দায়ের করে একটি পুলিশ অভিযোগ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, হ্যাকার ও প্রতারক গ্রাহকরা ৮৩১ টি ট্রান্সজকশন বা লেনদেনে গড়মিল ধরা পড়েছে। রেজার পে সফটওয়ারের অনুমোদন প্রক্রিয়াকে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও নয়ছয় চালিয়ে ৭.৩৮ কোটি টাকা হরফ করে নেওয়া হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে ৭.৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার ভয়াবহ অভিযোগ। পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানির দায়ের করে একটি পুলিশ অভিযোগ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, হ্যাকার ও প্রতারক গ্রাহকরা ৮৩১ টি ট্রান্সজকশন বা লেনদেনে গড়মিল ধরা পড়েছে। উল্লেখ্য, ১৬ মে সাউথ ইস্ট সাইবার ক্রাইম সেলের কাছে দায়ের করা অভিযোগে, রেজার পে- হেড অভিষেক অভিনব আনন্দ বলেছে, যে কোম্পানি ৮৩১টি লেনদেনের বিপরীতে ৭.৩৮ কোটির রসিদ মেলানো সম্ভব হয়নি। ফিনটেক এবং অর্থ প্রদানকারী সংস্থা ফিসারের সঙ্গে তার অনুমোদন এবং প্রমাণীকরণ অংশীদার যোগাযোগ করার পরে , এটা রেজার পে-কে জানানো হয়েছিল যে, এই বিপুল সংখ্যায় লেনদেনগুলি ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী।ফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের পর রেজার পে একটি তদন্ত শুরু করেছে। রেজার পে-র ১৬ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ৮৩১ টি লেনদেন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। লেনদেনগুলি হয়েছে, এই বছরের ৬ মার্চ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত এই ঘটনাগুলি ঘটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠছে ভারত- রিপোর্ট
প্রসঙ্গত, হ্য়াকারদের ছড়াছড়ি সারাদেশেই। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বুকে পেটিএম এ ১৬৮,০০০ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী পরিবার। ওই ব্যবসায়ী পরিবার পেটিএম এ অনলাইনে অ্যাপস ডাউনলোড করে তাতে ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের ১০,০০০ টাকা জমা রাখেন। তারপর পেটিএম থেকে জানানো হয়, জমা দেওয়া ওই ১০,০০০ টাকা ফেরৎ পেতে গেলে তাদেরকে কেওয়াইসি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। সেইমতো তারা নাম ঠিকানা জায়গা জানতে চায় এবং কেওয়াইসি ফর্ম ফিলাপ হয়ে গিয়েছে বলে জানায় পেটিএম সংস্থা, এমনটাই অভিযোগ ব্যবসায়ী পরিবারের। ব্যবসায়ী পরিবারের কাছে ফোন আসে বর্ষবরণের দিন । প্রতারকরা জানায়, গুগুল কুইক অ্যাপ ডাউনলোড করতে । সেইমতো ব্যবসায়ী পরিবার অ্যাপস টি ডাউনলোড করেন। তারপর ব্যবসায়ী পরিবারের তরফে জানানো হয় যে, প্রতারকরা তাদের ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক এর থেকে ধাপে ধাপে টাকা কাটতে থাকে। এবং প্রতারণার শিকার হন ওই ব্যবসায়ী পরিবার।
আরও পড়ুন, জম্মু -কাশ্মীরে সুরঙ্গ তৈরির সময় আচমকা ধস, আটকে ১০ শ্রমিক