সংক্ষিপ্ত

আরজি কর মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে কংগ্রেস নেতা কপিল সিবালের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকে তাঁকে 'কলিযুগের রাবণ' আখ্যা দিয়েছেন। কপিল সিবালের পাশাপাশি কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভিকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী কংগ্রেস নেতা কপিস সিবাল। আর সেই কারণে শুধু রাজ্য নয়, গোটা দেশের মানুষের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ এই আইনজীবী। যদিও আরজি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত করেছে রাজ্যকে। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বও রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। এই অবস্থায় আইনজীবী কপিল সিবালের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তাতে টেনে আনা হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও। যদিও রাহুল গান্ধী প্রথম থেকেই ব্যক্তিগতভাবে আরজি করের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও কপিল সিবালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে 'কলিকালের রাবণ' আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মধুসূদন নামে এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'কলিযুগের আসল রাবণ কপিল সিব্বাল । 2G কেলেঙ্কারির পক্ষে। কয়লা কেলেঙ্কারির পক্ষে । CWG কেলেঙ্কারির পক্ষে । তিন তালাক রক্ষা করেছেন । রামমন্দিরের বিরুদ্ধে লড়েছেন । সিএএ অপসারণের বিরুদ্ধে লড়েছেন। আরজি কর মামলায় মমতা সরকারের পক্ষে।'

 

 

কপিল সিব্বালের পাশাপাশি আর এক আইনজীবী তথা কংগ্রেসের নেতা অভিষেক মনু সিংভিও নেটিজেনদের নিশানায় চলে এসেছেন । রনদীপ শিশোদিয়া নামে এক এক্স ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, 'কংগ্রেসম্যান অভিষেক মনু সিংভি এবং কপিল সিবাল, এই দুটি মুখ সবসময় মনে রাখবেন। আমার দৃষ্টিতে, এই দুই কংগ্রেসী ভারতের এই সমস্ত লোকেদের আইনগত আশ্রয় প্রদান করে:

১)সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং শক্তিশালী

২)ডন/সন্ত্রাসী এবং মদদদাতা

৩) সবচেয়ে বড় আর্থিক অপরাধী

৪) সবচেয়ে বিপজ্জনক নকশাল

৫) সকল দেশ বিরোধী শক্তি

এবং এটা আমার কাছে স্পষ্ট যে তাদের রাহুল গান্ধীর অদম্য সমর্থন রয়েছে! সুতরাং এটা আমার কাছে পরিষ্কার যে এই কারণে একজন কেজরিওয়াল বা মমতা বা একজন সোরেন সবসময়ই রাহুল গান্ধীর দুষ্ট ছত্রছায়ায় ঋণী থাকবেন। তিনি সিংভি এবং সিবালের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা প্রদান করেন । ভারত যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারবে ততই মঙ্গল!'

 

 

অন্যদিকে কপিল সিবাল, সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তার স্বাক্ষরিত একটি রেজোলিউশন জারি করা হয়েছে। সেখানে আরজি করের ঘটনা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের ওপর ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনারও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তাই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কপিল সিবালকে । শসাঙ্ক শেখর ঝাঁ নামে এক নেটিজেন বলেছেন, কপিল সিবাল একজন আইনজীবী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করেছেন। সেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে বাংলার নির্যাতিতার সঙ্গে একাত্ম প্রকাশ করেছেন।

 

 

অনেকেই বলছে কপিল সিবাল পুরোপুরি দ্বিচারিতা করেছেন।