সংক্ষিপ্ত
২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় ২০২৩ সালে আরও পাঁচ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। এর পেছনে ভাষা, ধর্ম এবং জাত ভিত্তিক প্রচারকে গুরুত্ব দিয়েছে RSS।
ভারতের নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নরেন্দ্র মোদীর মুখ ও প্রচারকাজ। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের প্রধানতম হাতিয়ার হল হিন্দুত্ববাদ। এই দুই হাতিয়ারকে সম্বল করেই একের পর এক নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেছে পদ্ম পক্ষ। তবে, সম্প্রতি এই হাতিয়ারে মরচে লক্ষ্য করা গেছে। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বিজেপি। আর, এই পরাজয়ের পরেই দলকে বড়সড় সতর্কবার্তা দিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) ।
সম্প্রতি আরএসএসের মুখপত্র- সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন অর্গানাইজারে লেখা হয়েছে যে, শুধুমাত্র মোদীর ভাবমূর্তি ও হিন্দুত্ববাদী প্রচার কাজে লাগালেই বিজেপির উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব হবে না। বিজেপির দরকার আঞ্চলিক স্তরে জোর বাড়ানো। দলের একেবারে গোড়ার অংশ মজবুত করে তোলার জন্য শক্তিশালী আঞ্চলিক নেতৃত্বের ওপর জোর দিয়েছে আরএসএস।
এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে যে, শক্তিশালী নেতৃত্ব আর তার কার্যকরী প্রতিফলন ছাড়া শুধু মোদী ক্যারিশমা আর হিন্দুত্ববাদই যথেষ্ট হবে না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের এই পরাজয় বিজেপির পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর। কংগ্রেসের কাছে এবারের পরাজয় খুব বড়সড়ভাবেই ধাক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কারণ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় ২০২৩ সালে আরও পাঁচ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। এর পেছনে ভাষা, ধর্ম এবং জাত ভিত্তিক প্রচারকে গুরুত্ব দিয়েছে RSS।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মতে, শাসক দল (বিজেপি) জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি দিয়ে ভোটারদের জাগিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে, অন্যদিকে কংগ্রেস স্থানীয় স্তরে প্রচার বজায় জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কংগ্রেসের জাতীয় নেতারা এই ভোটে ন্যূনতম ভূমিকা পালন করেছেন, অপরদিকে আঞ্চলিক নেতারা নির্বাচনী প্রচারের সময় মঞ্চের সামনের সারিতে অংশ নিয়েছিলেন, যা কর্ণাটক নির্বাচনে কংগ্রেসকে বড় জয়ের দিকে পরিচালিত করেছে। এটি দাবি করেছে যে কর্ণাটক নির্বাচনে জাত-ভিত্তিক প্রচার করা হয়েছিল।
সংঘ উল্লেখ করেছে যে, ভোট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ভাষাগত ও ধর্মীয় প্রভাব অনেকটা গুরুত্ব রেখেছে। কর্ণাটক নির্বাচন আবার ভাষাগত ভেদের বিপদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যেটার সম্পর্কে ড. আম্বেদকর সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ‘কিছু লোক যেভাবে উত্তর বনাম দক্ষিণ কার্ড খেলেছে তা আরেকটি বিপজ্জনক চক্রান্ত।’
আরও পড়ুন-
PM Modi: 'মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ সভায় ভাষণ দেওয়ার জন্য উন্মুখ', জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আজ থেকেই দারুণ সৌভাগ্য পেতে চলেছেন ৬টি রাশি জাতকরা, বুধ গ্রহ থেকে তৈরি হচ্ছে গজকেশরী রাজ যোগ
Weather News: তাপপ্রবাহের সঙ্গে একাধিক জেলায় ব্যাপকভাবে বাজ পড়ার সতর্কতা জারি