সংক্ষিপ্ত
সোমাবার জনসভায় শচীন পাইলট গেহলট সরকারকে আক্রমণ করেন। আগের বিজেপি সরকারের দুর্নীতির তদন্তে গেহলট সরকারের নিস্ত্রিয়তার প্রতিবাদ আজমেড় থেকে জয়পুর পর্যন্ত পাঁচ দিনের পদযাত্রা শেষ করেছেন।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা এখনও সমাধান করতে পারেন কংগ্রেস। তারই মধ্যে রাজস্থানের রাজনৈতিক আকাশে ক্রমশই কালো হচ্ছে মেঘ। এদিন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইটল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে রীতিমত হুমকি দেন। বলেছেন, চলতি মাসের শেষে মধ্যে যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তাহলে মাসের শেষে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে কংগ্রেস সরকারকে। নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে রীতিমত সিদ্ধহস্ত বয়ে পড়েছে শচীন পাইলন। এদিন তাঁর পাশে ছিলেন রাজস্থান কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত ১৪ জন বিধায়ক।
সোমাবার জনসভায় শচীন পাইলট গেহলট সরকারকে আক্রমণ করেন। আগের বিজেপি সরকারের দুর্নীতির তদন্তে গেহলট সরকারের নিস্ত্রিয়তার প্রতিবাদ আজমেড় থেকে জয়পুর পর্যন্ত পাঁচ দিনের পদযাত্রা শেষ করেছেন। জয়পুরে দলীয় সমাবেশে শচীন পাইলট রাজ্যের পাবলিক সার্ভিক কমিশন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে গেহলট সরকারকে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি পরীক্ষা বাতিল করার দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথাও বলেন। পাশাপাশি বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান। শচীন পাইলট বলেন, এই মাসের শেষের মধ্যে এই তিনটি বিষয়ে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয় গেহলট সরকার তাহলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলন শুরু করবেন।
এই একই দাবি নিয়ে গত মাসে শচীন পাইলট অনশন আন্দোলনও করেছিলেন। এবার তিনি পদযাত্রা করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গেহলট সরকার তাঁর দাবি কানেও তোলেনি। তবে শচীন বলেন, তাঁর দাবি নিয়ে আগামী দিনে গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করবেন। কিছুই তাঁকে থামাতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জীবনের শেষ নিঃস্বাস দিয়ে তিনি রাজস্থানের সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবেন। রাজস্থানের জনগণের জন্যই তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে এদিন তিনি কংগ্রেসকে স্বস্তি দিয়ে বলেছেন, তাঁর আন্দোলন দুর্নীতি ছাড়া আর কারও বিরুদ্ধে নয়। তিনি রাজস্থানের তরুণদের জন্য লড়াই করছেন।
এদিন শচীন পাইলট আন্দোলনে তাঁর পাশে পেয়েছেন, রাজস্থানের বনমন্ত্রী হেমারাম চৌধুরী, সৈনিক কল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র গুধা এবং এসসি-এসটি কমিশনের চেয়ারম্যান খিলাড়ি লাল বৈরওয়া। এরা অবশ্য ২০২০ সালেও শচীন পাইলটের সঙ্গে ছিলেন, যখন তিনি গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। দলের বেশ কয়েকজন বিধায়কও পাইলটের সঙ্গে রয়েছে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার গেহলটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পাইলট। চলতি বছরই রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন। আর সেই কারণেই পাইলট-গেহলটের দ্বন্দ্ব কংগ্রেসকে ক্রমশই অস্বস্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ
আরিয়ান খান মামলায় সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় সমীর ওয়াংখেড়ে, নজরে বহুমূল্যবান ঘরি আর বিদেশ সফর