সংক্ষিপ্ত

শুধু ভারতেই নয়, দেশের বাইরেও প্রভাব বিস্তার করেছেন ঈশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি ঈশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব। তাঁর মস্তিষ্কে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। রবিবার তাঁর মস্তিষ্ক হঠাৎ ফুলে যায়, যন্ত্রণা শুরু হয় এবং রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এরপরেই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। গত কয়েকদিন ধরেই সদগুরুর মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মস্তিষ্কের অবস্থা পরীক্ষা করেন চিকিৎসক বিনীত সুরি। তিনি এমআরআই করার পরামর্শ দেন। এরপরেই সদগুরুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে। রবিবার সদগুরুর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তাঁর মাথা যন্ত্রণা বেড়ে যায়। তিনি বমিও করতে থাকেন। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যানে দেখা যায়, তাঁর মাথার ভিতরে ফোলা ভাব রয়েছে এবং রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এরপরেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।

সুস্থ হয়ে উঠছেন সদগুরু

দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক বিনীত সুরি, প্রণব কুমার, সুধীর ত্যাগী ও এস চট্টোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে সদগুরুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর সদগুরুকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করে আনা হয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁর মস্তিষ্ক, শরীরের অন্যান্য অংশ, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ঠিকমতো কাজ করছে। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর তেমন কোনও শারীরিক সমস্যা নেই।

জরুরি ছিল অস্ত্রোপচার

চিকিৎসক বিনীত সুরি জানিয়েছেন, ‘কয়েকদিন আগে সদগুরুর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এর ফলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারত। এই কারণে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। সদগুরু এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা যে এত তাড়াতাড়ি উন্নত হয়ে উঠবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি।’ ঈশা ফাউন্ডেশেনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, সদগুরু এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

ভারতে পৃথিবীর ৪% ভূমি রয়েছে, ১৭% লোক সেখানে বাস করে, এভাবে না ভেবে বাড়ি তৈরি করা হয় তবে বড় বিপর্যয় হবে: সদগুরু

১৬টি ভাষায় সম্প্রচারিত হবে সদগুরু ইশা ফাউন্ডেশনের শিবরাত্রিরের অনুষ্ঠান, ১২ ঘন্টা চলবে এই উৎসব

সদগুরু জগ্গি বাসুদেবের সাথে সাইকেল চালালেন সিদ্ধার্থ মালহোত্র