সংক্ষিপ্ত
পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে যানবাহন। দিনে দিনে যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিবেশের উপর একটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে যানবাহনের।
বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে, মাউন্ট কারমেল কলেজ অটোনমাসের সহযোগিতায় নাম্মা বেঙ্গালুরু ফাউন্ডেশনের বিশেষ উদ্যোগ। শুক্রবার কানিংহাম রোড, বালেকুন্দ্রি সার্কেলে একটি "পৃথিবী বাঁচাও, আমাদের ভবিষ্যত বাঁচাও" ক্যাম্পেনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বছরের পৃথিবী দিবসের থিম হচ্ছে 'আমাদের গ্রহে বিনিয়োগ করুন', ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকরা মাদার আর্থের প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখানোর জন্য এবং এই গ্রহের বাস্তুসংস্থানকে সম্মান করার সচেতনতা বাড়াতে প্রচারে অংশ নেন।
দলে দলে ছাত্ররা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে স্লোগান দেয়, 'গাছ বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও', গো গ্রীন, সাইকেল চালাও', 'সিগন্যালে ইঞ্জিন বন্ধ করে জ্বালানি বাঁচাও', 'প্লাস্টিক ব্যবহার এড়িয়ে চল', 'লেক বাঁচাও'। আমাদের গ্রহে বিনিয়োগ করতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটিকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করার জন্য সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে পথে নেমেছিলেন তাঁরা।
এই প্রচারের উদ্যোগ দেখে বেশ খুশি পথচলতি মানুষ। অনেকেই প্রচারে অংশ নেওয়া পড়ুয়া ও শিক্ষকদের থেকে গ্রহের সংরক্ষণে তারা কীভাবে অবদান রাখতে পারে সে সম্পর্কে জানতে চান। অনেকে এই প্রচারে স্বতস্ফূর্ত ভাবে যোগও দেন। শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক সিগন্যালে থেমে থাকা গাড়ি চালকদেরও তাদের গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে প্রথম পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছিল। সিগন্যালে যানবাহন বন্ধ করা শুধুমাত্র জ্বালানি এবং অর্থ সাশ্রয় করে না, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে পরিবেশ এবং আমাদের গ্রহকেও বাঁচায় বলে বার্তা দেন তাঁরা।
এই টিমের বার্তা বিশ্বের পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে যানবাহন। দিনে দিনে যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরিবেশের উপর একটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে যানবাহনের। বায়ু দূষণ এবং বিশ্ব উষ্ণায়নেও এদের অবদান রয়েছে। তাই, স্বল্প দূরত্বের জন্য হাঁটা এবং সাইকেল চালানো এবং দীর্ঘ দূরত্বের জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার মতো ভ্রমণ বিকল্প বেছে নেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে।
এছাড়াও প্রচারে অংশ নেওয়া সদস্যরা বার্তা দেন আমাদের শহরে হ্রদ সংরক্ষণ এবং গাছ বাঁচাতে নাগরিকদের উত্সাহিত করা উচিত। হ্রদগুলি ভূগর্ভস্থ জল পুনরুদ্ধার, বন্যা রোধ, শুষ্ক মরসুমে জল সঞ্চয় এবং ইকো-সিস্টেম বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে যার ফলে জীবনকে সমর্থন করে এবং আমাদের শহরে বায়ু দূষণ হ্রাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গাছগুলি একটি শক্তিশালী অস্ত্র কারণ তারা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন অপসারণ করে, আমাদের আশেপাশের এলাকাগুলিকে শীতল করে এবং আমাদের জল ও বাতাসকে ফিল্টার করে।
কিছু স্বেচ্ছাসেবক পথচলতি মানুষকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে এই ধরণের পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করেন। তাঁরা বলেন এর ফলে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যাবে। যার মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। স্বেচ্ছাসেবীরা পথচারীদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহারে উত্সাহিত করেছেন।
আরও পড়ুন- বিগ বাম্পার, বিয়ের মরশুমে বিপুল পতন সোনার দামে, একধাক্কায় কমল রূপোর দরও
আরও পড়ুন- সি সেকশন বা সিজারের পরে কীভাবে কমাবেন পেটের মেদ, রইল সাতটি উপায়
আরও পড়ুন- সন্তানকে অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিচ্ছেন না তো? জেনে নিন কোথায় টানবেন শাসনের গন্ডী