সংক্ষিপ্ত
ইসি হিসেবে অরুণ গোয়েলের নিয়োগে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট অরুণ গোয়েলকে নির্বাচন কমিশনার বিসেবে নিয়োগে 'তাড়াতাড়ি' আর 'তাড়াহুড়ো' করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে কিছুক্ষণের জন্য মুখ বন্ধ রাখতে আর বিষয়টি সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। শুরুতেই বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন একটি পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ইসি হিসেবে গোয়েলের নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলটি খতিয়ে দেখেছিল। একই সঙ্গে প্রশ্ন করেছিল, 'এটি কী ধরনের মূল্যায়ন?' একই সঙ্গে আদালতের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল তাঁরা অরুণ গোয়েলের যোগ্যতা র প্রমাণপত্র নিয়ে কোনও প্রশ্নই তুলছে না। প্রশ্ন তোলা হয়েছে নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে 'বিদ্যুৎ গতিতে' ইসি হিসেবে অরুন গোয়েলকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ফাইলটি বিভাগগুলিতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাটর্নিজেনারেলের মাধ্যমে বেঞ্চকে অনুরোধ করেছিল সমস্তকিছু খতিয়ে না দেখে নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে যেন কোনও প্রশ্ন তোলা না হয়।
সাংবিধানিক বেঞ্চের এক জন সদস্য বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, অ্যাটর্নিজেনারেলকে বলেছেন, 'আপনাকে আদালতের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে হবেয আমরা স্বতন্চ্র প্রার্থী নই। প্রক্রিয়ার ওপরেই নির্ভর করে রয়েছি।' পাল্টা অ্যাটর্নিজেনারেলবলেন, তিনি আদালতের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য। শীর্ষ আদালত বলেছে, ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার এক দিনের মধ্যে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন। তার ফাইলটি আইন মন্ত্রক এক দিনের মধ্যেই সাফ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটি নামের একটি ফাইল রয়েছে। তাতেই রয়েছে গোয়েলের নাম। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেটি রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অনুমোদন করা হয়েছে।
বিচারপিত অনিরুদ্ধ বোস, হৃষিকেশ রায় ও সিটি রবিকুমার- এই বেঞ্চের বাকি সদস্য। তাঁরা বলেছেন, প্যানেলে যে চারটি নাম রয়েছে তা আইনমন্ত্রীর দ্বারা সাবধান হাতে বাছাই করা হয়নি যাতে তারা ৬ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারে। ভেঙ্কটমানি প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন যে নির্বাচনের জন্য একটি প্রক্রিয়া ও মানদণ্ড রয়েছে। তবে এমন কোনও দৃশ্য সেখানে থাকতে পারে না, যেখানে সরকারের প্রতিটি কাজের জন্য ট্র্যাক রেকর্ডের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে তিনি ৬ বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন।
নির্বাচন কমনিশন আইন ১৯৯১ এর অধীনে একজন নির্বাচন কমিশনানের মেয়াদ ৬ বছর বা ৬৫ বছর বছর বয়স পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ
আবারও হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প, আজ ভোরবেলা কাঁপল মেঘালয়ার তুরা
বোন প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের পাল্টা পদযাত্রা বিজেপির