সংক্ষিপ্ত

সোমবার গুটরাটে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ। অহমেদাবেদের ১৬টি আসনই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর কংগ্রেস বিজেপি আর আপ-এর কাছে। মোদী এই শহরেই একাধির প্রচার সভা করেছেন।

 

সোমবার গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায়। ভোট প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। দ্বিতীয় দফায়র ভোট গ্রহণ শাসক দল বিজেপির কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল কংগ্রেস আর আম আদমি পার্টির কাছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমেদাবাদের ১৬টি আসন। ১৯৯০ সাল থেকেই এই আসনগুলিতে বিজেপি একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছে। ২০১২ ও ২০১৭ সালে আমেদাবাদে বিজেপি আধিপত্যতে ধীরে ধীরে পা রাখতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। আগের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস চারটি আসন পেয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেশকরা দাবি কেরছেন বর্তমান বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৬টির মধ্যে ১২টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পারে। তবে বাকি গুলি পাবে কংগ্রেস। তবে AIMIM কংগ্রেসের আসনে কিছুটা হলেও ভাগ বসাতে পারে। আম আদমি পার্টি কোনও আসন পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র আমেদাবাদেই দুটি জনসভা আর প্রচার মিছিল করেছে। এটি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তাই এই এলাকায় বিজেপি নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছে।

গত ১ ডিসেম্বর মোদী শহরের ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রোডশো নেতৃত্ব দেন। তার মিছিল আহমেদাবাদের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দিয়ে যায়। ২ ডিসেম্বর তিনি দ্রুত প্রচার সারেন আমেদাবাদের বিস্তারীণ এলাকায়। আমেদাবাদের গুরুত্বপূর্ণ আসন হল মণিনগর- এটি ২০০২ -২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিল নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র। পাটিদার অধ্যুষিত পাটালেদিয়াও দুই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ও আনন্দীবেনেপ প্যাটেলের কেন্দ্র ছিল। ২০১৭ সালে কোটা আন্দোলন সত্ত্বেই এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল।

অন্যদিকে ভেজালপুর ও দানিলিমদা আসনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এবার কংগ্রেসের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে পারে AIMIM । ২০১৭ সালে এই দুটির সঙ্গে কংগ্রেস পেয়েছিল বাপুনগর, জামালপুর-খাদিয়া, দারিয়াপুর ও ডানিলিমদা। এবার প্রত্যেকটাই জোর লড়াই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আগামিকাল অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর গুজরাটে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। একই দিনে হিমাচল প্রদেশেরও ফল প্রকাশ হবে।

আরও পড়ুনঃ

কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা প্রথম বৈঠকে উপস্থিত সোনিয়া গান্ধী, দলীয় শৃঙ্খলায় জোর দলিত নেতার

প্রেমিকের স্বামীকে ধীরে ধীরে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে স্ত্রী, মৃত্যুর অনেক পরে রহস্যের জট খুলছে মুম্বই পুলিশ

G-20 সভাপতিত্ব পাওয়া প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের, মন কি বাতে আর কি বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী