পহেলগাঁও হামলার পর পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিও নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। আদালত আবেদনকারীকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছে।
পহেলগাঁও হামলার পর পার্বত্য এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আইনজীবী বিশাল তিওয়ারির আবেদনও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
"গতবারও আমরা আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। এটা করার চেষ্টা করবেন না... আপনার উদ্দেশ্য কি? কে আপনাকে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে? আপনি কোন সংবেদনশীলতা বুঝতে পারছেন না? আপনাদের কি কোনও দায়বদ্ধতা নেই?" বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ বলেছে।
তবে শীর্ষ আদালত এর কোনওটিই করেনি এবং আবেদনকারীকে কঠোর ভাষায় ধর্ষণ করেছে।
"আবেদনকারী কোনও না কোনও তথাকথিত জনস্বার্থ মামলায় লিপ্ত হচ্ছেন, যার মূল লক্ষ্য জনস্বার্থ রক্ষার কোনও উদ্দেশ্য ছাড়াই প্রচার করা। খারিজ করা হয়েছে," আদালত বলেছে।
অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা চেয়ে আর্জি
কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা ও সুরক্ষার জন্যও নির্দেশিকা চেয়েছিলেন আবেদনকারী। ২০২৫ সালের যাত্রাটি ৩ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, উত্তর ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যের অর্থনীতি মূলত পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। সন্ত্রাসী হামলা এই খাতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, পহেলগাঁওয়ে স্পর্শকাতর এলাকা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না।
আবেদনে বলা হয়েছে, "এই ধরনের জায়গায়, প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে পর্যটকরা দর্শনীয় স্থানের জন্য ভিড় করেন, সেখানে এক ধরনের সশস্ত্র নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এই হামলার তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আর্জি জানানো আবেদনকারীর আবেদনও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে যে এই জাতীয় প্রার্থনা বাহিনীকে মনোবল ভেঙে দিতে পারে।

