সংক্ষিপ্ত

সীমা হায়দারকে আতশকাচের তলায় রেখেছে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড বা এটিএ। এই সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের অনুমান সীমার সঙ্গে হয় পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে।

 

সীমা হায়দার- এই নামের সঙ্গে বর্তমানে গোটা দেশই পরিচিত। পাকিস্তানি মহিলা। যিনি তাঁর প্রেমিকার জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে এই দেশে এসেছে। থাকতে শুরু করেছেন তাঁর প্রেমিক শচীন মীনার সঙ্গে। তাঁকে রীতিমত আতশকাচের তলায় রেখেছে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড বা এটিএ। এই সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের অনুমান সীমার সঙ্গে হয় পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর যোগাযোগ রয়েছে। নয়তো সে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা ISIএর হয়ে কাজ করে। অন্যদিকে সীমা হায়দারের ভাই আর কাকা পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছেন তাঁর পাকিস্তানে বসবাসকারী স্বীমা। তাতেই এটিএসএর সন্দেহ আরও বেশি হচ্ছে। 

সীমার ইংরেজি

এটিএস-এর এমন অনুমানের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর - সীমা হায়দারকে কয়েকটি ইংরেজিতে লেখা কয়েকটি লাইন পড়তে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলি যে শুধু পড়তে পেরেছে এমনটা নয়। দুর্দান্তভাবেই সেগুলি পড়তে পেরেছে। নিখুঁত তার ইংরেজি উচ্চারণ। সীমা পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের খাইরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এটি পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়া একটি এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে থেকেও সীমা কী করে নিখুঁত ইংরেজি পড়তে শিখলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তদন্তকারীদের মনে।

পাবজির মাধ্যমে টার্গেট

তদন্তকারীদের দ্বিতীয় প্রশ্ন সীমা হায়দার পাকিস্তানে থাকার সময় থেকেই শুধুমাত্র দিল্লি এনআরসি এলাকার তরুণদের পাবজি খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। তাদের সঙ্গেই মূলত এই গেম খেলতেন। ভারতের আর অন্য কোনও এলাকার তরুণদের প্রতি তার কোনও আগ্রহ ছিল না। দিল্লি এনআরসি এলাকার আরও বেশ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে সীমা পাবজি খেলছিল।

পরিচয়পত্র নিয়ে ধোঁয়াশা

সীমার পাকিস্তানের পরিচয়পত্র নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছে এটিএস-এর সদস্যদের। সূত্রের খবর সীমা যে আইডি কার্ড দিয়েছে সেটি ইস্যু করা হয়েছে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সীমার বয়স ৩০এর বেশিষ তাই পরিচয়পত্র এত পরে ইস্যু করা কেন হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে সীমা শচীন মীনার সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকেই পাবজি খেলতে শুরু করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এটিএস। এটিএস সূত্রের খবর, সীমার পাসপোর্ট, আধার কার্ড, তার সন্তানদের সম্পর্কিত যেসব নথি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। সীমা এই দেশে এসেই তড়িঘড়ি নিজের সন্তানদের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। তা নিয়েও সংশয় বাড়ছে তদন্তকারীদের।

৪ জুলাই সীমা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সীমাকে বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রেমিক শচীন মীনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সীমাকে সাহায্য করার জন্য। তাদের ৭ জুলাই জামিন দিয়েছিল আদালত। তবে কতগুলি শর্ত আরোপ করেছিল। অন্যদিকে সোমবারই সীমার প্রেমিক শচীন মীনা ও তার বাবাকে দীর্ঘ সময় ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। সীমা নেপাল দিয়ে অবৈধভাবে এই দেশে প্রবেশ করেছিল। তার সঙ্গে ছিল তার চার সন্তান।