সংক্ষিপ্ত
অপরাধ জগতের আরও এক চরম নিদর্শন দেখল মধ্যপ্রদেশ। কলেজ শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে ৭ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করল এক ব্যক্তি।
অপরাধ জগতের আরও এক চরম নিদর্শন দেখল মধ্যপ্রদেশ। কলেজ শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে ৭ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করল এক ব্যক্তি।
একুশ শতকে দাঁড়িয়ে এখন প্রযুক্তি যথেষ্ট উন্নত। আর সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন সময়ে বেড়ে চলেছে অপরাধ। এবার সেইরকমই একটি ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। ফোনে এক বিশেষ ধরণের অ্যাপ নামিয়ে, নিজের কণ্ঠস্বর বদলে তার বদলে মহিলা কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ৭ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করল ব্রজেশ খুশওয়া নামে এক ব্যক্তি।
অত্যন্ত সুচতুরভাবে একের পর এক অপরাধ করে গেছেন তিনি। কার্যত হাড়হিম করা একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্যপ্রদেশ। নিজেকে ওই ব্যক্তি কলেজ শিক্ষিকা বলে দাবি করত। তারপর ফোন করে ছাত্রীদের সঙ্গে পরিচয় করত এবং কথাবার্তা বলত। আলাপ ভালোমতো জমে গেলেই সে টোপ দেওয়া শুরু করত। জানা যাচ্ছে, সে ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার লোভ দেখাত। এইভাবেই মধ্যপ্রদেশে বসবাসকারী আদিবাসী ছাত্রীদের বোকা বানিয়ে ধর্ষণ করত ব্রজেশ খুশওয়া।
স্কলারশিপের কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর সেই ব্যক্তি একটি নির্জন বা শান্ত জায়গায় আসতে বলত ছাত্রীদের। শুধু তাই নয়, ব্রজেশ খুশওয়া ছাত্রীদের বলত যে বাইকে করে সেইখান থেকে সে নিজেই তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে। পুরোটাই ছিল পরিকল্পনা মাফিক। এইভাবেই একের পর এক ছাত্রীকে বোকা বানিয়ে ধর্ষণ করত সে।
একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অন্তত ৭ জন আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ব্রজেশ খুশওয়া নামে ঐ ব্যক্তি। ছাত্রীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির মাথায় সবসময় থাকত একটি হেলমেট। ফলে, তাঁর মুখ একদমই বোঝা যেত না। কিন্তু শনাক্তকরণের একটি উপায় ছিল। কারণ, তাঁর হাতে থাকত একটি গ্লাভস।
তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের হাতে আসতে শুরু করে একাধিক তথ্য। তারা জানতে পারে যে, ঐ ব্যক্তি আসলে একটি কারখানায় কর্মরত। সেইখানে কাজ করতে গিয়েই হাত পুড়ে যায় তাঁর। সেইজন্যই সে গ্লাভস পরে থাকে। শেষপর্যন্ত শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তবে তিনি একা নন, তাঁর আরও ৩ সঙ্গীকে আটক করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে, ব্রজেশ খুশওয়ার বাড়িটি পুরোপুরি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের আইজি মহেন্দ্র সিকারওয়ার বলেছেন, “একজন ছাত্রী আমাদের জানায় যে স্কলারশিপের কথা বলে একজন তাঁকে ফোন করেছিল। তারপর তাঁকে সেই ব্যক্তি জানায় একটি নির্জন জায়গায় যেতে হবে। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর আমরা তদন্ত শুরু করি এবং ব্রজেশকে চিহ্নিত করি। অবশেষে তাঁকে আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি।”
অভিযুক্ত ব্রজেশ খুশওয়া পুলিশকে জানায় যে, সে একটি বিশেষ ধরণের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করত। যার ফলে বদলে যেত তাঁর নিজের কণ্ঠস্বর। বদলে আসত মহিলাদের কণ্ঠস্বর। এইভাবেই সে একের পর এক ছাত্রীকে বোকা বানিয়ে যেত।
মাথায় হেলমেট পরে মুখ ঢেকে রাখত বলে কেউ সহজে তাঁকে শনাক্ত করতে পারত না। কিন্তু হাতের গ্লাভসটি সে ঢাকতে পারেনি। সেই সূত্র ধরেই ব্রজেশ খুশওয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।