সংক্ষিপ্ত
দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন স্বাতী মালিওয়াল রীতিমত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, ছোটবেলায় বাবার হাতে একাধিকবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
ছোটবেলায় বাবার হাতে একাধিকবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শনিবার একটি অনুষ্ঠানে এসে তেমনই জানিয়েছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন স্বাতি মালিওয়াল। তিনি আরও বলেছেন ছোটবেলায় এই যৌন নির্যাতনই তাঁকে আজকের পথে নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁরই মত এইদেশের নির্যাতিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা তিনি নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বাতী মালিওয়াল আরও জানিয়েছেন তিনি কী করে যৌন নির্যাতন ও গৃহস্থ হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
এদিন একটি পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিল দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন স্বাতী মালিওয়াল। তিনি বলেন এই অনুষ্ঠানে এসে তিনি রীতিমত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁর যারা পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের জীবন যুদ্ধের কথা তাঁকে অতীত দিনে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছিল তাঁর শৈশবের কথা। তিনি আরও বলেছেন , এদির মঞ্চে যারা সম্মানিত হয়েছেন, তাঁরাও জীবনে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তাঁদের লড়াই আগামী প্রজন্মের কাছে লড়াইয়ের হাতিয়ার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন স্বাতী মালিওয়াল বলেন, 'আমার বাবা আমাকে ছোটবেলায় মারধর করতেন। তিনি আমাকে যৌন হেনস্থা করতে। রাতে তিনি বাড়ি আসার আগেই খাটের তলায় লুকিয়ে থাকতাম। চুলের ঝুঁটি ধরে তিনি মারতেন।' তিনি আরও জানিয়েছেন, সেই সময়ই রাতে শুয়ে শুয়ে নারীদের ক্ষমতায়নের কথা তিনি চিন্তা করতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন বেশি দিন তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে থাকেননি। মাত্র ক্লাস ফোর পর্যন্তই বাবার সঙ্গে ছিলেন। সেই অল্প সময়ের মধ্যেই এই খারার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর বাবা তাঁকে এমনভাবে মারধর করত অনেক সময় তাঁর মাথা ফেটে রক্ত পড়ত।
দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন নারীদের কল্যানে কাজ করার জন্য সেই অত্যাচারই তাঁকে দৃঢ়ভাবে তৈরি করেছেন। এদিন আন্তর্জাকিক নারী দিবসের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিনের অনুষ্ঠানে দিল্লির মহিলা কমিশন সশস্ত্র বাহিনী, ক্রীড়া, সামাজিক কাজের জন্য নারীদের সম্মান প্রদান করে। ৯০ জনকে সম্মানিত করা হয়। পুরষ্কার দেওয়া হয়, ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা, অনুর্ধ্ব ভারতীয় ক্রিকেটার সোনিয়া মেন্দিয়ান্দ, আন্তর্জাতিক হকি খেলোয়াড় মুমতাজ খান। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শহিদ নিশান্ত মালিক ও রাইফেলম্যান মনোজ ভাটির পরিবারকেও সম্মান জানিয়েছেন। এঁরা জঙ্গিদের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন।