সংক্ষিপ্ত

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর সাহিল তার ১৬ বছরের প্রেমিকাকে কমপক্ষে ২০ বার ছুরির আঘাত করেছে। নিহত নির্যাতিতার দেহে ৩৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে

 

 

উত্তর - পশ্চিম দিল্লির শাহবাদ ডেইরিতে নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে তোলপাড় দিল্লি। রবিবার রাতের বেলা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে প্রেমিক ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে তার প্রেমিকাকে। পথচারীরা এই ঘটনায় রীতিমত হতবাক। ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত সাহিলকে। ২০ বছরের সাহিলকে উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানেই তার মেডিক্যাল টেস্ট করে। জেরাও করা হবে। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ খুনের কারণ জানতে পারেছে বলেও দাবি করেছে। দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র।

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর সাহিল তার ১৬ বছরের প্রেমিকাকে কমপক্ষে ২০ বার ছুরির আঘাত করেছে। নিহত নির্যাতিতার দেহে ৩৪টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই পুরো তথ্য সামনে আসবে। যাইহোক সাহিল ছুরি দিয়ে পরপর আঘাতের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিমেন্টের স্ল্যাব দিয়ে পিটিয়ে মেরেছিল। রাস্তাতেই পড়েছিল নির্যাতিতার দেহ। গোটা ঘটনার ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে আঘাতের কারণে মেয়েটির মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। তবে পুলিশ এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে খুনের পরই সাহিল নিজের ফোন বন্ধ করে দিয়েছিল। একটি বাসে করে উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে পিসির বাড়িতে চলে গিয়েছিল। পিসির বাড়ি থেকেই বাবারে ফোন করেছিল। সেখান থেকেই পুলিশ সাহিলের তথ্য জানতে পারে বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার করেছে।

খুনের কারণ সম্পর্কেও সাহিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর সাহিলের সঙ্গে নাবালিকার সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। কিন্তু সম্প্রতি নাবালিকা সম্পর্ক শেষ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সাহিল তা মেনে নেয়নি। নাবালিকা টানা ১৫ দিন নিজের বাড়ি ছেড়ে নীতু নামের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকছিল। নীতির দুটি সন্তান। তারা একটি ঘরেই ছিল। সূত্রের খবর ১৫ দিন নাবালিকা সাহিলকে ফোন করেনি। সাহিল ফোন করলেও অনেক সময় তা ধরেনি। শনিবার রাতের বেলায় রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়ার পর সাহিল নাবালিকার সঙ্গে ঝগড়া করে। তারপর রবিবারে নির্মম ঘটনা ঘরে। সাহিল রাস্তায় ঝগড়ে করে। নাবালিকাকে সে ফিরে আসার কথাও বলে। কিন্তু রাজি হয়নি নাবালিকা। তারপরই তাকে হত্যা করে।

তবে দিল্লিরে রাস্তার ওপর এই নৃশংস খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আম পার্টির অভিযোগ দিল্লিতে নাবালিকাকে রাস্তায় নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, অপরাধীদের মনে কোনও ভয় নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। দিল্লির মহিলা চেয়ারপার্সেন স্বাতী মালিওয়াল পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন জাতীয় রাজধানীতে কেউ আর পুলিশকে ভয় পায় না। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেছেন এই হত্যাকাণ্ড নির্মম। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার এখনও বিচার পায়নি। তারই মধ্যে আরও শ্রদ্ধা নৃশংসতার শিকার হচ্ছে।