সংক্ষিপ্ত
- হাথরসে নির্যাতিতার বাবাকে গুলি
- মন্দিরের সামনে গুলি করে হত্যা
- মেয়েক শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাবা
- বেপাত্তা গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত
আবারও নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশ। যোগী রাজ্যে নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করল হত্যা করার অভিযোগ উঠল জামিনে মুক্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পুলিস জানিয়েছে সোমবার বিকেলে স্থানীয় একটি মন্দিরের সামনে নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের পরিবারের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমেই তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেই সময়ই যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত নির্যাতিতার বাবাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুরুতর জখম অবস্থায় নির্যায়িতার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন আক্রান্ত ব্যক্তি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
২০১৮ সালে গৌরব শর্মা নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় একট তরুণীকে যৌন হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোশ্যল মিডিয়ায় একটি বিবৃতি দিয়ে হাথরসের পুলিশ আরও জানিয়েছে নির্যাতিতার বাবাই মেয়ের শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। মাস খানেক জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছিল এক অভিযুক্ত। আরও এক অভিযুক্ত বর্তমানে জেলবন্দি। প্রথমে স্থানীয় একটি মন্দিরে দুই পরিবারের মহিলা সদ্যদের মধ্যে বচসা বাধে। পরে সেখানে আলে পুরুষ সদস্যরা। তারপরই নির্যাতিতার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই ফেরার গৌরব ও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত। এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, আশঙ্কার কথা শোনাল CSIR ...
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, সূত্রের খবর পড়তে পারেন বর্ষিয়ান বিধায়করা ...
নির্যাতিতা তরুণী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন, গৌরব তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিল। এবার তাঁর বাবাকে গুলি করে খুন করল। তাঁদের গ্রামে গৌরব ৬-৭জনকে নিয়ে এসেছিল। গ্রামে তাদের সঙ্গে কারোর ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। গৌরব প্রতিহিংসার বশেই তার বাবাকে হত্যা করেছেন বলেও দাবি করেছেন নির্যাতিতা তরুণী। গৌরবের শাস্তির দাবিতেও সরব হয়েছেন নির্যাতিতা।
গত সেপ্টেম্বরেই হাথরসে তথাকথিত উচ্চবর্ণের চার জনে মিলে ২০ বছরের এক দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। প্রায় এক মাস হাসপাতালে লড়াই করেও প্রাণে বাঁচতে পারেননি নির্যাতিতা। নির্যাতিতার দেহ রাতের অন্ধকারে জোর করে পুড়িয়ে দেওয়ার অধিকার উঠেছিল যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। যা গোটা দেশকে হতবাক করেছিল। তারপর এই ঘটনায় আবাও উঠে এসেছেন হাতরসের নাম।