সংক্ষিপ্ত

ফের আন্দোলনে নামছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Sanyukta Kishan Morcha)। মোদী সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে ওয়াদা খিলাফির অভিযোগ রাকেশ টিকাইতের (Rakesh Tikait)। 
 

দীর্ঘ টালবাহানার পর, ২০২১ সালে গুরু নানকের (Guru Nanak) জন্মদিবসে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার (Farm Laws Repealed) করেছিল মোদী সরকার (Modi Govt)। হাতি কাদায় পড়েছে ভেবে, এরপর বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনেও প্রচার করেছিলেন কৃষক নেতারা, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (UP Elections 2022) ধাক্কা খাওয়ার পর, ফের আন্দোলনের পথেই ফিরতে চলেছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Sanyukt Kisan Morcha)বা এসকেএম। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে, আগামী ২১ মার্চ থেকে তারা ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

গত বছর, ১৩ মাস ব্যাপী কৃষক আন্দোলন বন্ধ করার পর, সোমবারই প্রথম এসকেএম, নয়াদিল্লিতে (New Delhi) তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করল। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, ফের আন্দোলনের পথেই ফিরবেন কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত (Rakesh Tikait) জানিয়েছেন, এসকেএম, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে 'ওয়াদা-খিলাফি আন্দোলন' (প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন) (Waada-khilafi Andolan) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন - BJP: 'কৃষক-কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মোদী', ড্যামেজ কন্ট্রোলে বিজেপির পাল্টা প্রচার

আরও পড়ুন - Farmers Protest: বিক্ষোভে পুলিশের হাতে কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি, দাবি কেন্দ্রের

আরও পড়ুন - Rakesh Tikait: ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালি হয়ে যাবে সব বিক্ষোভস্থল, ঘোষণা টিকাইতের

কী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি মোদী সরকার? কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব (Yogendra Yadav) জানিয়েছেন, কেন্দ্রের যে চিঠির প্রস্তাব মেনে গত ৯ ডিসেম্বর তারা অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, তার কোনওটিই এখনও পূরণ করেনি সরকার। সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা হল আশ্বাস দিয়েও, কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যে ৪০,০০০-এরও বেশি মামলা রয়েছে। এমনকী, ইউএপিএ (UAPA) ধারাতেও অভিযুক্ত করা হয়েছে, যা সাধারণত একটি সন্ত্রাসবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়। লখিমপুর খেরির হত্যার (Lakhimpur Kheri Incident) প্রকৃত বিচার পাওয়া যায়নি। কৃষকদের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বা এমএসপি (MSP) পাওয়া নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করার কথা ছিল। এখনও তা করা হয়নি। 

তবে, এর আগে তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের মূল দাবি নিয়ে আন্দোলনের সময়, যেমন একটানা ১৩ মাস ব্যাপী কৃষকরা দিল্লির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেছিলেন, এবারের আন্দোলন সেইরকম হবে না। ২০২২ সালে এসকেএম-এর আন্দোলন হবে পর্যায়ক্রমে। এদিনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ মার্চ হবে একদিনের আন্দোলন। পরবর্তী পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হবে ৯ এপ্রিল, চলবে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। ওই সময়, এসকেএম কৃষিজাত পণ্যের ন্যূনতম বেঞ্চমার্ক মূল্যের (Minimum benchmark prices for farm produce) দাবিতে, দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করবে।