সংক্ষিপ্ত

সংসদে বাদল অধিবেশনের আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রণকৌশল স্থির করতে বৈঠক ডেকেঠেন সনিয়া গান্ধী। সেই বৈঠকই স্থির হতে পারে অধীর চৌধুরীর ভবিষ্যৎ। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে অধীরকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। 

পার্লামেন্টারি স্ট্যাটেজি গ্রুপের বৈঠক ডেকেছেন সনিয়া গান্ধী। আসন্ন বাদল অধীবেশনে মোদী সরকারকে কোনঠাসা করতে এই বৈঠকে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে। তবে সূত্রের খবর এই এদিনের বৈঠকেই স্থির হতে পারে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর ভাগ্য। কারণ কংগ্রেস সূত্রের খবর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরানোর জন্য চাপ ক্রমশই বাড়ছে গান্ধী পরিবারের ওপর।  লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার  দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শশী থারুর, গৌরব গগৈ,মণীষ তিওয়ারের মত বর্ষিয়ান সাংসদরা। 

নতুন ১৭টি বিল আর কৃষক আন্দোলন, সবমিলিয়ে উত্তাল হতে পারে সংসদের বাদল অধিবেশন

কংগ্রেসর সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরী লোকসভায় কংগ্রেসের অবস্থান সঠিকভাবে তুলে ধরতে ব্যার্থ হয়েছেন। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধী তিনি। ক্রমাগত মমতার বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। যা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে রাজি নয় দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্য কংগ্রেসের মতই দিল্লি কংগ্রেসের একটা অংশ চাইছে বামেদের সঙ্গে ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই আগামী লোকসভা ভোটে পথে নামতে। কিন্তু অধীরের লাগাতার তৃণমূল বিরোধী মন্তব্য তাতে বাধা হতে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।    তাই অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সনিয়া গান্ধীর ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন দলেরই একটা অংশ। অন্যদিনে কংগ্রেসের বর্তমানে প্রবলভাবে লাগু করা হয়েছে এক ব্যক্ত এক পদ। কিন্তু অধীর চৌধুরী বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাও। তাই কোনও একটি পদ তাঁকে ছাড়তেই হত। 

'আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মত নিচ্ছি ', কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ে কড়া ভাবে সতর্ক করল কেন্দ্র

কংগ্রেস বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব জি-২৩ নেতৃত্ব। সেই দলে অবশ্য নেই অধীর চৌধুরী। একটি সূত্র বলছে তারই অঙ্গ হিসেবে গান্ধীপরিবারের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।তবে এদিনের বৈঠকে লোকসভায় দলীয় হুইপ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনাও দল খতিয়ে দেখতে পারে।  

অনলাইনে মদ কিনে প্রতারিত শাবানা আজমি, রহস্য সমাধানে ২৬ জন সাইবার বিশেষজ্ঞ

তবে কংগ্রেসের অন্য একটি সূত্র আবার বলছে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু অধিবেশন শুরুর আগেই অধীরেকে সরিয়ে নাও দেওয়া হতে পারে। দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নাও নেওয়া হতে পারে। তবে সবকিছুই যে হাইকমান্ড সনিয়া গান্ধীর হাতে রয়েছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেস নেতা। আগামী ১৯ জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে কংগ্রেসের এই বৈঠক যে গুরুত্বপূর্ণ তা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না।