সংক্ষিপ্ত

ইসরো আবিষ্কার করলো এক অত্যাধুনিক হাইব্রিড মোটরের ।বিজ্ঞানীদের ধারণা এই মোটর ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চাকে  আরো সমৃদ্ধ করবে। 

আবারও  মহাকাশ বিজ্ঞানে মাইল ফলক গড়লো ভারতীয়রা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো তৈরি করলো এমন একটি  হাইব্রিড মোটর যা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে গেলো  আরও  এক ধাপ।  পূর্বের " মিশন মঙ্গল ' থেকে চন্দ্রজান উৎক্ষেপণ ভারতীয় মহাকাশ চর্চা সবসময়ই বিস্মিত করেছে বিশ্ববাসীকে। সেই নজির আবারো গড়লো ভারতীয়রা।মঙ্গলবার  তামিল নাড়ুর মহেন্দ্রগিরিতে সফলভাবে পরীক্ষিত হলো ভারতীয়দের আবিষ্কৃত এই হাইব্রিড মোটর।  গবেষকদের ধারণা এই মোটর ভারতের মহাকাশ চর্চাকে  আরও  সমৃদ্ধ করবে । 

ইসরোর এই হাইব্রিড মোটরটি ভবিষ্যতে, মহাকাশযান লঞ্চ করার সময় যে ভেহিকেলটি  ব্যবহার করা হয় সেটিতে ব্যবহৃত হবে  ।  এই মোটরটিতে  অত্যাধুনিক হাইড্রোক্সিল -টার্মিনেটেড পলিবুটডিয়ানকে  জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা  হচ্ছে ।  ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা মহেন্দ্রগিরির প্রোপ্যালেশন কমপ্লেক্সে এই মোটরটি প্রথম পরীক্ষা  করে দেখেন গবেষকরা । 
 
স্পেস এজেন্সি  দ্বারা জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ,এই  মোটরটিতে ব্যবহৃত জ্বালানি  আগেকার মোটরে ব্যবহৃত জ্বালানির থেকে  অনেকটাই আলাদা। এই মোটরে কঠিন ও তরল অক্সিডাইজারকে একসাথে মিশিয়ে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে । এই অত্যাধুনিক হাইব্রিড মোটরটি মাপযোগ্য। এবং এতে ব্যবহৃত তরল ও কঠিনের   মিশ্রনটি  জ্বালানী হিসাবে  লিকুইড প্রোপালশন সিস্টেম সেন্টার দ্বারা অনুমোদিত। গবেষকরা আরও  জানান যে ৩০ কন হাইব্রিড মোটরে ব্যবহৃত এই জ্বালানিটি অন্যান্য জ্বালানির চেয়ে অনেক বেশি টেকসই এবং এটি মোটরটিকে অন্যান্য জ্বালানির চেয়ে খানিকটা বেশি সুরক্ষা প্রদান করবে । 

বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার  এর বিজ্ঞানীদের দ্বারা নির্মিত এই  মোটরটিকে পরীক্ষা করার সময় ১৫ সেকেন্ড ধরে আগুনে রাখা হয়েছিল কিন্তু তাতেও এটিতে আগুন ধরেনি।  ১৫ সেকেন্ড আগুনে থাকার পরও এই মোটরটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ছিল। 
 
ইসরো একটি  বিবৃতিতে জানায় যে মোটরটির কার্যক্ষমতাও বেশ সন্তোষজনক। তরল জ্বালানি ব্যবহারের ফলে এটির থ্রোটলিংও সহজতর এবং  মোটরটির এলওএক্স এর প্রবাহও নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ  সুবিধাজনক । 

 জিএসএলভি এমকে -৩ উপগ্রহটি পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণের জন্য এই মোটরটি প্রথম ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।  তবে ইসরো কর্তৃক এই উৎক্ষেপণের বিবরণ এখনো প্রকাশিত হয়নি। আগামী অক্টোবরে এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।