সংক্ষিপ্ত
সরকার বুধবার অধিবেশনের জন্য অস্থায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে চারটি বিলের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংসদের ৭৫ বছর পূর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
সোমবার , ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। আগামী পাঁচ দিন চলবে। গত ৩১ অগাস্ট এই অধিবেশনের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কেন এই বিশেষ অধিবেশন তা এখনও স্পষ্ট নয়। সংসদের পাঁচ দিনের অধিবেশন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার আচমকাই বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু কারণ জানায়নি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, অধিবেশনের জন্য কোনও তালিকা এজেন্ডাভুক্ত করা হয়নি।
বিশেষ অধিবেশন ডাকার সরকারি কারণ
সরকার বুধবার অধিবেশনের জন্য অস্থায়ী তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে চারটি বিলের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সংসদের ৭৫ বছর পূর্তির বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। কিন্তু বিরোধিরা তাতে এখনও সায় দেয়নি। কংগ্রেসের অভিযোগ গোটা দেশে এই সময় আইনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যদিও কংগ্রেস সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বিরোধীদের মতে দেশের নাম বদলের প্রস্তাব আনা হতে পারে।
এভাবে শেষ বিশেষ অধিবেশন হয়েছে ২০১৭ সালে। সেই সময় জিএসটি বিলটি পাশ হয়েছিল। সাধারণত সরকারপক্ষ এজাতীয় বিশেষ অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগেই সরকার এজেন্ডা প্রকাশ করে। বিতর্কিত বিলগুলির কথা উল্লেখ করে। তবে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, ইমেলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ পাঠান হয়েছে সাংসদদের।
সংসদের বিশেষ অধিবেশন -
সংবিধান সরকারকে বিশেষ অধিবেশন ডাকার ক্ষমতা দিয়েছে। অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংবিধানের ৮৫ (১) অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে সংসদের বিশেষ অধিবেশন তলব করা যায়।
সংসদের নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডারের অভাব
ভারতীয় সংসদে এখনও একটি নির্দিষ্ট অধিবেশনের সময়সূচির কথা বলা নেই। লোকসভা কমিটি ১৯৫৫ সালে প্রস্তাব করেছিল যে বাজেট অধিবেশন ১-৭ মে, বর্ষা আধিবেশন ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর , শীতকালীন অধিবেশন ৫ নভেম্বর থেকে বা দীপাবলির পরে চতুর্থ দিন থেকে শুরু হবে। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু কোনও ক্যালেন্ডার থেকে। ভারতীয় সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী দুটি অধিবেশনের মধ্যে ৬ মাসের বেশি ব্যবধান থাকা উচিৎ নয়।
বিশেষ অধিবেশন ডাকার কারণ
এই বিশেষ অধিবেশনে কার্যধারা সীমিত করতে পারে প্রিসাইডিং অফিসাররা। প্রশ্নোত্তরের মত পদ্ধতিগুলি এড়িয়ে যেতে পারে। এটা লক্ষণীয় যে ৩৫২ ধারা, যা জরুরি অবস্থা ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত তা বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলে। এখনও পর্যন্ত সাতটি বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে।