সংক্ষিপ্ত
গুজরাটের সুরাট থেকে বিহারে আসছিল ট্রেনটি। সেটা ধরার জন্য সারা স্টেশন চত্বর জুড়ে একেবারে যুদ্ধ পরিস্থিতি!
কালীপুজো আর দীপাবলি সারা ভারত জুড়ে হইহই। সমস্ত মানুষ ফিরে আসেন নিজের প্রিয়জনের কাছে, এই সময়টা প্রত্যেকের ঘরে ফেরার সময়। বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজো বা মারাঠিদের কাছে গণেশ পুজো অত্যন্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিহারের মতো রাজ্যের মানুষরা দীপাবলিকেই বিরাট উৎসব বলে মনে করেন। তাই, অন্য রাজ্য থেকে তাঁদের ফিরে আসবার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কিন্তু, এই হুড়োহুড়ি এতটাই বেশি হয়ে যাবে যে, মানুষের প্রাণহানিও ঘটে যেতে পারে, একথা বোধহয় কখনওই ভাবেননি উৎসব-মুখী মানুষ!
শনিবার গুজরাটের সুরাট থেকে আসছিল একটি বিহারগামী ট্রেন। সেই ট্রেনটা ধরার জন্য কার্যত রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেখা গেল সুরাট স্টেশনে। প্রথম থেকেই যাঁরা ভেতরে ছিলেন, তাঁরা নতুন করে কাউকে ট্রেনে উঠতে না দেওয়ার জন্য ভেতর থেকে দরজা আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে পুলিশকর্মীরাও কোনওরকম সাহায্য করেননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
-
তবে, শুধুমাত্র মোদীর রাজ্য গুজরাট নয়, রাজধানী দিল্লিতেও দেখা গেল একই রকম ভয়াবহ ছবি। দিল্লির আনন্দ বিহার রেলওয়ে স্টেশন এবং আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনালের কাছে দিল্লি- উত্তর প্রদেশ সীমান্তে আনন্দ বিহার-কৌশাম্বিতে চোখে পড়ল অগুন্তি মানুষের ভিড়।
-
তবে, সুরাতের ঘটনার পরিণতি হয়েছে মর্মান্তিক। বহু মানুষ বিহারের ট্রেনে উঠতে চেয়েও উঠতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন, স্থানীয় পুলিশকর্মীদের উদ্যোগে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারা দেশের স্টেশনগুলিতে ভিড়ের পরিপ্রেক্ষিতে, রেলওয়ে ১ হাজার ৭০০টি বিশেষ ট্রেন চালু করেছে। ২৬ লক্ষ অতিরিক্ত বার্থ উপলব্ধ করা হয়েছে।