টেক্কা দেবে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারকে! এবার মেয়েদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৬০ হাজার টাকা
ভোট মিটতেই বড় ঘোষণা, নয়া প্রকল্প চালু করল রাজ্য সরকার। এবার প্রতিটি মেয়ের অ্যাকাউন্টে প্রতি বছর ঢুকবে ৬০ হাজার টাকা! রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প টেক্কা দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভান্ডারকেও।
- FB
- TW
- Linkdin
মেয়েদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকে নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে রাজ্য, উভয় সরকারই সময়ে সময়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে।
চালু করা হয়েছে একাধিক প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেমন কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। এবার লোকসভা ভোট মিটতেই বাল্য বিবাহ রুখতে এমনই একটি দুর্দান্ত স্কিম চালু করা হল।
নয়া এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী নিযুত ময়না’। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লক্ষ মেয়ে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের জন্য প্রথম বছরে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান। ৫ বছরে সেই অঙ্কটা দাঁড়াতে পারে ১৫০০ কোটি। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীসভা।
অসম সরকারের এই নয়া প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেন, যে সকল ছাত্রী দশম শ্রেণি পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তাঁরা উচ্চমাধ্যমিক পাশ না করা অবধি মাসে ১,০০০ টাকা করে পাবে (গরমের ছুটির ২ মাস বাদে)।
অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা অবধি একজন ছাত্রী ২ বছরে মোট ২০,০০০ টাকা পাবে। প্রত্যেক মাসের ১১ তারিখ এই টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে যে ছাত্রীরা ডিগ্রি কোর্সের জন্য ভর্তি হবে, তাঁরা প্রত্যেক মাসে ১২৫০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পাবেন। আগামী ৩-৪ বছরের জন্য (যতদিন স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ হচ্ছে না) প্রত্যেক মাসে তাঁদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকে যাবে।
এদিকে আবার যারা মাস্টার্স তথা স্নাতকোত্তর ও বিএড কোর্সে ভর্তি হবেন, তাঁরা কোর্স না শেষ হওয়া অবধি প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে পাবেন।
এক কথায়, কোনও ছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা অবধি মোট ২০,০০০ টাকা পাবেন। তিন বছরের স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ধরলে তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৪৫,০০০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর বা বিএড পড়াকালীন পাবেন ৬০,০০০ টাকা।
অসম সরকারের ‘মুখ্যমন্ত্রী নিযুত ময়না’ প্রকল্পের সুবিধা কিন্তু সব মেয়ে পাবে না। বিধায়ক এবং মন্ত্রীর মেয়েরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। যে সকল ছাত্রী স্কুটার কিংবা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া অন্যান্য কোনও সুবিধা পান, তাঁরাও এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকবেন।