সংক্ষিপ্ত
গোপন সূত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছে গিয়েছিল যে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় জঙ্গিদের একটি বড়সড় গোপন ডেরা রয়েছে। খবর পেয়েই রবিবার পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে যৌথ অভিযান শুরু করে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই বড়সড় নাশকতার ছক, জঙ্গিদের পরিকল্পনা ছিল উপত্যকায় প্রাণঘাতী হামলা চালানোর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বানচাল হয়ে গেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায়। রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটিতে দুঃসাহসিক অভিযান চালাল নিরাপত্তা বাহিনী।
ঘাঁটিতে কোনও জঙ্গির হদিশ না পাওয়া গেলেও, সেই গোপন ডেরা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র সহ প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার করা গেছে বলে খবর। নতুন বছরের শুরুতেই সেনা বাহিনীর অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পাওয়া গেল বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পুঞ্চ জেলা থেকে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে খবর পৌঁছে গিয়েছিল যে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় জঙ্গিদের একটি বড়সড় গোপন ডেরা রয়েছে, সেখানে বহু জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। খবর পেয়েই রবিবার পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে যৌথ অভিযান শুরু করে। সুরানকোট তহশিলের বাহিয়ান ওয়ালি গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সেখানেই জঙ্গিদের গোপন ডেরার হদিশ মেলে। তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গিদের খোঁজ না মিললেও, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যেগুলির মধ্যে ছিল মোট তিনটি এ.কে অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি বাক্স, যার মধ্যে ছিল ১০টি গ্রেনেড, একটি গ্রেনেড থ্রোয়ার। এগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা গেছে। শেষ খবর পাওয়া অবধি, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ। তবে, এলাকা জুড়ে জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, জানুয়ারি মাসেই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। তার আগে বা সেই সময়ে বড়সড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। সেই কারণেই গোপন ডেরায় বিপুল সংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে এসেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপত্যকার শান্ত পুঞ্চ জেলা জঙ্গিদের জন্য নাশকতার একটি শক্ত ঘাঁটি। এর আগেও এই জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বহু কর্তা এবং জওয়ানদের বিস্ফোরণে হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উপত্যকার সাধারণ মানুষদেরও নিশানা বানাচ্ছে তারা। বিশেষ করে কাশ্মীরী পণ্ডিত ও পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে বারবার হামলা চালানো হচ্ছে। তবে, ২০২৩-এর শুরুতেই তাদের অস্ত্রভাণ্ডার সেনাবাহিনীর হাতে এসে যাওয়ায় ফের সাফল্যের মুখ দেখছে ভারত।
আরও পড়ুন-
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে কড়া চেকিং, স্কুলে স্কুলে টুকলি হওয়া আটকাতে চালু হবে বিশেষ নিয়ম
‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যথাযথ প্রস্তুত রয়েছে ভারত’, চিন-পাকিস্তানের প্রতি ফের কড়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর