মহিলা সভাপতি পাচ্ছে বিজেপি? ছক ভাঙার কারিগর নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ
বর্তমানে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু এক ব্যক্তি এক পদ নীতির জন্য তাঁকে সভাপতির পদ ছাড়তে হতে পারে। তাই বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

বিজেপি সভাপতি
বর্তমানে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু এক ব্যক্তি এক পদ নীতির জন্য তাঁকে সভাপতির পদ ছাড়তে হতে পারে। তাই বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
নাড্ডার পরে কে?
বর্তমানে বিজেপিতে আলোচনা নাড্ডার পরে কে হবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাতেই আলোচনায় উঠে আসছে মহিলার নাম।
মহিলা সভাপতি
বিজেপি চার দশকের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলাকে সভাপতি করা হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের জুটি ছক ভাঙতে অভ্যস্ত। তাই আলোচনা হচ্ছে এক মহিলার নাম নিয়ে।
কে সেই মহিলা?
বিজেপির অন্দরে যাঁর নাম নিয়ে চর্চা চলছে সেই মহিলা হলে সুধা যাদব। সংবাদ মাধ্যমে মোটেও পরিচিত মুখ নয়। নিঃশব্দে হয়েছে তাঁর উত্থান। তিনি সংসদীয় বোর্ডের একমাত্র মহিলা সদস্য।
সুধা যাদব
জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত নন সুধা যাদব। কিন্তু বিজেপির ওপর মহলে তাঁর অবাধ যাতায়াত রয়েছে। ২০২২ সাল থেকে তিনি বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্য। সুষমা স্বরাজের বদলি হিসেবেই তাঁকে নেওয়া হয়েছিল।
সংসদীয় রাজনীতি
১৯৯৪ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। হরিয়ানার মহেন্দ্রগড় থেকে জিতে তিনি সাংসদ হন। কিন্তু ২০০৪ সালে নির্বাচনে তিনি হেরে যান।
ব্যক্তিগত জীবন
সুধা যাদব ১৯৮৭ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলডি রুরকি থেকে রসায়নে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও পেয়েছেন।
কার্গিল শহিদের স্ত্রী
সুধা যাদব কার্গিল শহিদ ডেপুটি কমান্ড্যান্ট সুখবীর সিং যাদবের স্ত্রী। তাঁদের দুই সন্তান।
মোদীর সঙ্গে যোগ
নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই সুধার রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর সুপারিশেই তিনি বিজেপির প্রার্থী হন। রাজনীতিতে আনকোরা হলেও হারিয়েছিলেন সেই সময়ের কংগ্রেস প্রার্থী রাও ইন্দ্রজিৎ রাওকে। বর্তমানে যিনি রয়েছেন কংগ্রেসে।
মোদীর দিল্লি জয়ের পর সুধার আবার উত্থান
সুধার উত্তরণ আবার শুরু হয় ২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে। ২০১৫ সালে সুধাকে বিজেপির ওবিসি মোর্চার কেন্দ্রীয় ইনচার্জ করা হয়। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত জাতীয় অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেন তিনি।

