সংক্ষিপ্ত
আদালতে পেশ করা মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়, এ পর্যায়ে কোনও মহিলার গর্ভধারণ নিরাপদে শেষ করা যায়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভ্রূণ বেঁচে থাকলে, ইনকিউবেশনে রেখে শিশুটিকে বাঁচানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবে হাসপাতাল।
ধর্ষণের শিকার এক মহিলার আবেদনের শুনানি করে তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মহিলা ২৭ সপ্তাহের গর্ভবতী। গর্ভপাতের অনুমতির জন্য দায়ের করা পিটিশন গুজরাট হাইকোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল, এই ক্ষেত্রে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। আদালত বলেছে, ভ্রুণ জীবিত হয়ে জন্মালে তা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে সরকারকে।
আদালতে পেশ করা মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়, এ পর্যায়ে কোনও মহিলার গর্ভধারণ নিরাপদে শেষ করা যায়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভ্রূণ বেঁচে থাকলে, ইনকিউবেশনে রেখে শিশুটিকে বাঁচানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবে হাসপাতাল। আইন অনুযায়ী শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের হবে বলেও আদালত স্পষ্ট করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য
মামলার শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ভারতীয় সমাজে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের অধীনে সমাজ ও দম্পতিরা গর্ভধারণকে সুখের সুযোগ বলে মনে করে। অন্যদিকে, বিবাহের বাইরে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ যে কোনও মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। সমাজের চোখে মহিলাকেই ছোট ও অসম্মানিত হতে হয়। সেদিকে নজর রেখেই শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত।
এর আগে শনিবার, একই বিষয়ে শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট হাইকোর্টের সমালোচনা করেছিল যে এটি গর্ভাবস্থার অবসান সম্পর্কিত আবেদন খারিজ করেছে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টও বলেছিল যে এই ধরনের মামলাগুলির অবিলম্বে শুনানি হওয়া উচিত এবং এই ধরনের মামলাগুলিকে স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচনা করে কোনও অবহেলা করা উচিত নয়।
এদিকে, এদিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া ধর্ষিত নাবালিকার গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের তরফে এসএসকেএম হাসপাতালকে গর্ভপাত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব ওই নাবালিকার গর্ভপাত করাবে এসএসকেএম হাসপাতাল। তমলুক হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসতে হবে। তমলুক হাসপাতাল হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই নাবালিকার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা বিচার করে দেখা গিয়েছে গর্ভপাত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকেরা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। মেডিক্যাল বোর্ডে অবশ্যই রাখতে হবে শিশুরোগ এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এবং তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।