সংক্ষিপ্ত

গুজরাট দাঙ্গায় নিষ্কৃতী পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস সাংসদ এনহাস জাফরির স্ত্রী জাকিয়া মোদীর বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

গুজরাট দাঙ্গায় নিষ্কৃতী পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাট দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস সাংসদ এনহাস জাফরির স্ত্রী জাকিয়া মোদীর বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ করে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। গুজরাট দাঙ্গায় তাৎকালীন গুটরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। তারই বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলাই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। জাকিয়া জাফরের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলা যোগ্যতা বর্জিত। বিষয়টি জিয়ে রাখার জন্যই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

২০০২ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি আমদাবাদের গুসবার্গ সোলাইটিতে হিংসার ঘটনায় ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিহতদের তালিকায় ছিলেন এহসান জাফরি। সেই ঘটনার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়েছিল। সেই দলই ছাড় দিয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তথ্যপ্রমানের ভাবে মোদীর সঙ্গে আরও ৬৮ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। গত বছর ৯ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তারপর  রায়দান সংকক্ষণে রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপিত এএম খানইউলকেরর বেঞ্চ।  

এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, 'প্রক্রিয়ায় এই ধরনের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের সকলকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আইন অনুসারে এগিয়ে যেতে হবে।' সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ হল আবেদনকারীর যুক্তিগুলি এসআইটি সদস্যদের সততা আর আন্তরিকতাকে ক্ষুন্ন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আবেদনকারী বেশিরভাগ বিষয়বস্তু অন্যদের সংরক্ষণের উপর ভিত্তি করে। যা মিথ্যতে পরিপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। মিসেস জাফরি, 84, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নতুন তদন্ত চেয়েছিলেন, রাজনীতিবিদ এবং পুলিশকে জড়িত একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে।


বিশেষ তদন্তকারী দল ফেব্রুয়ারী ২০১২-এ তার ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিয়েছিল - দাঙ্গার এক দশক পরে - এবং "কোনও বিচারযোগ্য প্রমাণ নেই" উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অন্য ৬৩ জনকে অব্যাহতি দিয়েছিল। ২০১৬ সালে, আহমেদাবাদের একটি বিশেষ আদালত ২৪ জন হামলাকারীকে গণহত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছিল যেটিকে আদালত "সুশীল সমাজের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার দিন" হিসাবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু আদালত, যা এই মামলায় একজন বিজেপি কর্পোরেটর সহ ৩৬ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছিল, তা জোর দিয়েছিল যে এর চেয়ে বড় ষড়যন্ত্র ছিল না।

10 Update: একনাথ শিন্ডে বনাম উদ্ধব ঠাকরের লড়াই, একনজরে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট
বিয়ের আসরে বরের ছোঁড়া গুলিতে নিহত বন্ধু, ভিডিও ভাইরাল হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া নেটবাসীদের
রবিবারের পাতে মাংসের ঝোলে টান! নতুন করে দাম বাড়ল মুরগীর মাংস আর ডিমের