সংক্ষিপ্ত
সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ সমীক্ষা বিতর্ক সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার শুনানির মধ্যে জুম্মার নামাজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার।
উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে অবস্থিত শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। মসজিদ কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার শুনানি করবে। এদিকে, আজ জুম্মার নামাজ উপলক্ষে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাইরের লোকজনের অনুপ্রবেশ রুখতে সম্ভলে ১৬ কোম্পানি মোতায়েন
মোরাদাবাদ বিভাগের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনয় সিংহ সকলকে নিজ নিজ মসজিদে নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কমিশনার বলেছেন, সকলে যেন চেষ্টা করেন জুম্মার নামাজ নিজ নিজ বাড়ির কাছাকাছি মসজিদেই পড়েন। কমিশনারের মতে, সম্ভলে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন আছে। বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায়ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের কোনও অশান্তি ছড়াতে দেওয়া হবে না। এজন্য ১৬ কোম্পানি পুলিশকর্মী বাইরে থেকে আনা হয়েছে।
জামা মসজিদে আসা লোকজনের আধার কার্ড যাচাই করা হবে
পুলিশ কমিশনার অঞ্জনয় সিংহ জানিয়েছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। বাইরের লোকজন যেন জামা মসজিদে না আসেন, সেজন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যারা আসবেন তাদের আধার কার্ড যাচাই করা হবে।
কি এই সম্ভল মসজিদ বিতর্ক?
উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার শাহী জামা মসজিদ নিয়ে হিন্দু পক্ষের দাবি, সেখানে হরিহর মন্দির ছিল। এই মর্মে আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন সহ ৮ জন দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মসজিদের ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফির নির্দেশ দেয়। আদালত এই সমীক্ষার রিপোর্ট ২৯ নভেম্বরের মধ্যে জমা করার নির্দেশ দেয়। প্রথম সমীক্ষা ১৯ নভেম্বর হলেও, অন্ধকারের জন্য তা বন্ধ করতে হয়। পরে ২৪ নভেম্বর রবিবার সকালে আইনজীবী কমিশনারের নেতৃত্বে একটি দল সমীক্ষার জন্য যায়। সমীক্ষা চলাকালীন মসজিদের আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে, যার ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে।