সংক্ষিপ্ত
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী গুজরাট হাইকোর্টের ৭ জুলাইয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেখানে আদালত ২ বছরের সাজা স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে তার আবেদন খারিজ করেছে।
গুজরাট হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আবেদনে গুজরাট সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি প্রশান্ত কে মিশ্রের নেতৃত্বে একটি বৈঠক নোটিশ জারি করেছে। ১০ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে আদালত। আসুন জেনে নেওয়া যাক মোদি উপাধি মামলার পরবর্তী শুনানি কবে?
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী গুজরাট হাইকোর্টের ৭ জুলাইয়ের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, যেখানে আদালত ২ বছরের সাজা স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে তার আবেদন খারিজ করেছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট অভিষেক সিংভি, রাহুল গান্ধীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে আবেদনটি ২১ জুলাই বা ২৪ জুলাই তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ করেছিলেন। গুজরাট হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি পিটিশনে গুজরাট সরকারকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৪ আগস্ট। আবেদনকারী পূর্ণেশ মোদীকেও নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফৌজদারি মানহানির মামলায় হাইকোর্ট তার সাজা স্থগিত করতে অস্বীকার করেছিল। 'মোদি উপাধি' নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুরাটের একটি আদালত তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
মোদী উপাধি মামলায় বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদীকেও নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তথ্যের জন্য, জেনে রাখা ভালো যে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়, কর্ণাটকের কোলারে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'সব চোর কীভাবে তাদের উপাধি হিসাবে মোদি?' এ নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। রাহুলের বিরুদ্ধে আইপিসি ৪৯৯ এবং ৫০০ (মানহানি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ জুলাই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী গুজরাট হাইকোর্টের আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। রাহুল তার পিটিশনে বলেছিলেন যে এই আদেশ নিষিদ্ধ না হলে বাকস্বাধীনতা, স্বাধীন মতপ্রকাশ, স্বাধীন চিন্তা এবং স্বাধীন বক্তব্য শ্বাসরোধ হয়ে যাবে। 'অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড' প্রসন্ন এস এর মাধ্যমে রাহুল গান্ধী এই পিটিশন দায়ের করেছিলেন। মাধ্যমে দায়ের করা হয়েছিল
রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্যপদ কি পুনরুদ্ধার করা যাবে?
প্রকৃতপক্ষে, ২৩ মার্চ, সুরাটের সুরাটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা ২০১৯ সালের মামলায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ২৪ শে মার্চ, রাহুল গান্ধীকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় সংসদের সদস্যপদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় রাহুল গান্ধীর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় স্থগিতাদেশ পেলে, তাঁর সংসদে পুনর্বহালের পথ খুলে দিতে পারে।
গত ২৩ মার্চই গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুল গান্ধীকে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। এই সংক্রান্ত মামলায় এরপর গুজরাত হাই কোর্টও দায়রা আদালতের রায় বহাল রাখায় এবার অবশেষে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানালেন কংগ্রেস নেতা। অপরাধমূলক অবমাননার মামলায় সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেলের সাজায় স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। গত ৭ জুলাই খারিজ হয় সেই আবেদন। এই মামলায় শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান রাহুলের আইনজীবী।