Supreme court on SSC Scam: ২০১৬ এসএসসি'র ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court on SSC Scam)। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।   

Supreme court on SSC Scam: ২০১৬ এসএসসি'র ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court on SSC Scam)। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, চিহ্নিত অযোগ্য (টেন্টেড) নন এমন শিক্ষকেরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৩১ মের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, তারা চলতি বছরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে যাদের যোগ্য ও অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা যায়নি, সেই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি আপাতত বহাল রইল। বৃহস্পতিবারের নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়ে দিলো শীর্ষ আদালত।

বিচারপতির নির্দেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশে পড়াতে পারবেন যোগ্য শিক্ষকরা। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই মর্মে ৩১ মে-র মধ্যে আদালতে হলফনামা দিয়ে তা জানাতে হবে। বর্ষশেষের আগেই পরীক্ষা নিয়ে শেষ করতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়া। তবে এই নির্দেশ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাঁদের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্দেশই বহাল থাকবে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ ডি-তে প্রচুর অবৈধ নিয়োগ রয়েছে। সেই কারণে তাঁদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তাহলে রাজ্য সরকার-পর্ষদ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক জরিমানাও করা হতে পারে। কড়া নির্দেশ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কী বলা হয়েছে (Supreme court on SSC Scam):-

এক সপ্তাহের মধ্যে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। শীর্ষ আদালত এদিন শুনানিতে জানিয়েছে, নতুন রুলফ্রেম তৈরি করতে হবে। শুধু তাই নয়, ৩১ মে-এর মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের কপি সহ হলফনামা ৩১ মে-এর মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষকদের যোগ্য ও অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা যায়নি, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আপাতত চাকরিতে বহাল থাকবেন। এই নির্দেশ শুধুমাত্র নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম পর্যবেক্ষণে আরও দাবি করা হয়েছে যে, গ্ৰুপ-সি এবং গ্ৰুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে পূর্ব নির্দেশই বহাল থাকবে। অর্থাৎ তাঁরা চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গ্রুপ-সি ও গ্রুপ ডি-তে প্রচুর অবৈধ নিয়োগ রয়েছে। সেই কারণে তাঁদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।