সংক্ষিপ্ত

মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট। অমিত শাহ এবং বিজেপি সম্পর্কে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পর এই মামলা দায়ের হয়েছিল।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) মানহানির মামলায় বড় স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যক্রম স্থগিত করল আদালত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

রাহুল গান্ধীর দায়ের করা আবেদনের শুনানি করেন বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা। মানহানির মামলা খারিজ করার আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিজেপি কর্মী নবীন ঝা এই মামলা দায়ের করেছিলেন।

রাহুল গান্ধীর পক্ষে শীর্ষ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এমন অনেক রায় আছে যেখানে বলা হয়েছে, কেবল ভুক্তভোগী ব্যক্তিই ফৌজদারি মানহানির অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। অভিযোগ কোনও প্রক্সি পার্টি দ্বারা দায়ের করা যাবে না। সিংভির বক্তব্যের জবাব দিতে অভিযোগকারী নবীন ঝা এবং ঝাড়খণ্ড সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

২০১৯ সালে অমিত শাহ এবং বিজেপি-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় অমিত শাহ-কে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এর জেরে বিজেপি-র নবীন ঝা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নবীন দাবি করেছিলেন, দিল্লিতে কংগ্রেসের একটি বৈঠকে রাহুল বলেছিলেন, বিজেপি-তে একজন খুনি দলীয় সভাপতি হতে পারেন, কিন্তু কংগ্রেসে তা সম্ভব নয়। বিজেপি-র বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন রাহুল। এতে দল এবং অমিত শাহ-র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আদালত মামলাটির বিষয়বস্তু গ্রহণ করে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর রাহুল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আবেদন জানান, যাতে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে স্থগিতাদেশ দেয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে হাইকোর্ট রাহুলের আবেদন খারিজ করে দেয়।