শিশু দত্তক নেওয়ার নিয়ম শিথিল করছে সরকার? আইনি জটিলতা নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Supreme Court On Child Adoption: দীর্ঘ আইনি জটিলতায় ভারতে বাচ্চা দত্তক নেওয়া প্রায় দুঃসহ কাজ। যারফলে শিশু দত্তক নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় নিঃসন্তান দম্পতিদের। এবার এই বিষয়ে বড় পদক্ষেপ নিলো দেশের শীর্ষ আদালত। বিশদে জানুন।

শিশু দত্তকে নয়া নিয়ম?
ভারতে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে বিরাট আইনি জটিলতা। যারফলে শিশু সন্তান দত্তক নিতে চেয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় অসহায় নিঃসন্তান দম্পতিদের। দেশের এই অ্যাডাপ্টশনের নিয়ম যে জটিল তা মেনে নিলো সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এই বিষয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার করা মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায় যে, ভারতে শিশু দত্তক নেওয়ার নিয়ম অত্যন্ত জটিল। তা সরলীকরণ প্রয়োজন।
শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ
জানা গিয়েছে, বাচ্চা দত্তক নেওয়ার বিষয়ে ২০২২ সালে একটি মামলা দায়ের করে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল যে, দেশে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। অথচ ভারতে লক্ষ লক্ষ শিশু দত্তক নেওয়ার অপেক্ষায় থাকে। যদিও সরকারি তরফে ভারতে প্রতিবছর অন্তত ৪০০০ শিশু দত্তক নেওয়া হয়। তবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, দীর্ঘ আইনি জটিলতার কারণে বহু নিঃসন্তান দম্পতি চাইলেও বাচ্চা দত্তক নিতে পারছেন না ভারতে।
ভারতে অনাথ শিশুদের সংখ্য়া কত?
যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান বলছে ভারতে অন্তত অনাথ শিশুর সংখ্যা ৩ কোটি। যা নিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি এত বিপুল সংখ্যক শিশু অনাথ এবং দত্তক নেওয়ার চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভারতে নানারকম আইনি জটিলতায় নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে না এই শিশুরা। আর এই বিষয়টি দেখে নিয়মে শিথিল আনার দাবি জানিয়ে মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে।
ভারতে সন্তান দত্তক নিয়মে কী কী মানতে হয়?
জানা গিয়েছে, ভারতে, দত্তক গ্রহণ সংক্রান্ত নিয়ম ‘হিন্দু দত্তক গ্রহণ ও ভরণপোষণ আইন ১৯৫৬’ এবং ‘শিশু সুরক্ষা আইন ২০০০’ দ্বারা পরিচালিত হয়।' এই নিয়ম মেনেই ভারতে শিশু দত্তক দেওয়া হয়। আর এই আইনি প্রক্রিয়া সামলেে বাচ্চা দত্তক নিতে প্রায় সাড়ে তিন বছর থেকে চার বছর লেগে যায়।
বাচ্চা দত্তক নেওয়ার জন্য কী দেখে সরকার পক্ষ
ভারতে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের তরফে আগে দেখা হয় যারা দত্তক নিচ্ছেন তাঁদের আর্থিক সচ্ছলতা কতটা। তাদের শংসাপত্র খুঁটিয়ে দেখা হয়। সমস্ত কিছু বৈধ কীনা তাও দেখা হয়। এই সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করেই তবেই বাচ্চা দত্তক নেওয়ায় ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

