সংক্ষিপ্ত
- আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে
- সেই নিয়ে জলঘোলা কিছু কম হয়নি
- ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিল বিশেষ তদন্তকারী দল সিট
- এবার অবশেষে পুলিশের জালে স্বামী চিন্ময়ানন্দ
আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে জলঘোলা কিছু কম হয়নি। চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতারি নিয়ে অকারণে দেরি হওয়ার কারণে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত ছাত্রী। তবে এবার অবশেষে পুলিশের জালে স্বামী চিন্ময়ানন্দ। গ্রেফতার করা হল বিজেপির প্রাক্ত
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের এক বিশেষ তদন্তকারী দল সিট অভিযুক্ত স্বামী চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করেন। এক কর্মকর্তার সূত্রে জানি গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁকে শাহজাহানপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল ২৩ বছর বয়সী আইনের ছাত্রী। তাঁর দাবি, এক বছর ধরে চিন্ময়ানন্দ-এর হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, তিন বারের মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ পরিচালিত ল কলেজেই আইন নিয়ে পড়াশোনা করছে সে। সেই একই কলেজে তার ভাইও পড়ে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে সে বলে। প্রায় এক বছর ধরে চিন্ময়ানন্দ তাঁকে যৌন নিগ্রহ ও শারীরিক নির্যাতনও চালিয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর চলতি সপ্তাহে সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে অভিযোগকারী ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। বয়ানে ছাত্রী জানায়, গোপনে ওই ছাত্রীর স্নানের দৃশ্য রেকর্ড করে নিয়ে, তারপর তা নিয়েই ব্ল্যাকমেল করে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। তারপর ওই ছাত্রীর তরফে বিশেষ তদন্তকারী দল সিটের হাতে পেন ড্রাইভে করে প্রমাণ স্বরূপ ভিডিও তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এমনকী সাংবাদিক বৈঠক ডেকেও ওই তরুণী দাবি করেছিল যে, বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতাই তাকে ধর্ষণ করেছে বলে খবর। সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই জল অনেক দূর গড়ালেও সিট চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করছিল না। এরপর অভিযোগকারী তরুণী জানায় যে, তাঁকে গ্রেফতার না করা হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে সে।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিলই, এবার পেন ড্রাইভে প্রমাণ আনলেন অভিযোগকারী
এমনকী অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবারও একই অভিযোগ ছিল যে, স্বামী চিন্ময়ানন্দই তাঁর মেয়েকে কিছু ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে। এবং তারপরই তাঁর মেয়ে কৌশলে গোপন ক্যামেরায় তার সমস্ত কীর্তিকলাপ রেকর্ড করে রাখে। সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তোলা হয়, কারণ যখন পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়, তখন পুলিশ তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলেও অভিযোগ।