সংক্ষিপ্ত
চরম যৌন কেলেঙ্কারি, ছাত্রদের সঙ্গে জোর করে গ্রুপ সেক্স তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের স্কুল শিক্ষিকার। ভিডিও তুলে বন্ধুদের পাঠালো তাঁর প্রেমিক।
ছাত্রদের সঙ্গে ডিভোর্সি স্কুল শিক্ষিকার গ্রুপ সেক্স! না, এটা কোনও পর্ন ফিল্ম নির্মাতাদের তৈরি রগরগে ফিল্মের সাজানো কাহিনি নয়। বাস্তবেই এমনই এক চাঞ্চল্যকর ভিডিওর তদন্তে নেমেছে তামিলনাড়ু পুলিশের সাইবার সাইবার সেল। রবিবার এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ওই স্কুল শিক্ষিকা এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিওটি তাঁর প্রেমিকই তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ।
মাদুরাইয়ের সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে। সেখানকার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করতেন ওই ৪২ বছরের মহিলা। ২০১০ সালে, তাঁর থেকে দুই বছরের ছোট এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যার ফলে, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকা, তাঁর স্কুলের ১৬ বছর বয়সী তিন ছাত্রকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। তারপর, তিনি তাঁদের সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হন। তাঁর প্রেমিক, ওই ব্যবসায়ী সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছিলেন।
গ্রেফতার মহিলা ও তাঁর প্রেমিক
তবে, এই ঘটনার বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখেনি ওই নির্যাতনের শিকার হওয়া নাবালক ছাত্ররা। তারাই ওই শিক্ষিকা এবং তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছিল। এরপরে মাদুরাই দক্ষিণ অল উইমেন থানায় ওই মহিলা এবং পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রবিবার, তাঁদের দুজনকেই গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে মাদুরাই পুলিশের সাইবার সেল। সাইবার সেলের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভিডিওটি তিনি তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন।
ভিডিও কি আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটে?
সাইবার সেল বর্তমানে তদন্ত করে দেখছে ভিডিওটি শুধু ওই বন্ধুদেরই পাঠানো হয়েছিল, নাকি অর্থের জন্য কোনও আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলিতেও আপলোড করা হয়েছে। ভিডিওটি যাদের যাদের পাঠানো হয়েছে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রয়োজনে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। সাইবার সেলের এক কর্তাব্যক্তি জানিয়েছেন, যারা যারা ওই পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট শেয়ার করেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডিজিপি অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে পকসো অ্যাক্টের ধারায় নাবালকদের যৌন নির্যাতন, অশ্লীল বিষয়বস্তু প্রচার এবং অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মাদুরাই শহরে হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে শুধু মাদুরাইতেই নয়, এই নক্কারজনক ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছে নেট দুনিয়াতেও।