TB Free India: প্রধানমন্ত্রী মোদী টিবি মুক্ত ভারত অভিযানের পর্যালোচনা সভায় ২০২৪ সালে যে সাফল্য এসেছিল তার প্রশংসা করেছেন এবং প্রযুক্তি, জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধিকে টিবি নির্মূলের মূল চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেছেন।
টিবি মুক্ত ভারত: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার তার বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে জাতীয় ক্ষয় রোগ নির্মূল কর্মসূচির (National TB Elimination Programme - NTEP) একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন। এই সময় তিনি ২০২৪ সালে টিবি-র দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং এটিকে সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
১০০-দিনের টিবি মুক্ত ভারত অভিযানের বড় অর্জন
সভায় ১০০-দিনের টিবি মুক্ত ভারত অভিযানের পর্যালোচনা করা হয়, যার আওতায় ১২.৯৭ কোটি সংবেদনশীল মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়েছে এবং ৭.১৯ লক্ষ টিবি রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২.৮৫ লক্ষ রোগী ছিলেন লক্ষণবিহীন। অভিযান চলাকালীন ১ লক্ষেরও বেশি নতুন নিক্ষয় মিত্র (Nikshay Mitras) অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যা জনসাধারণের অংশগ্রহণের একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ।
শ্রমিক এবং শহুরে-গ্রামীণ তথ্য বিশ্লেষণের উপর জোর
প্রধানমন্ত্রী মোদী টিবি রোগীর তথ্য গ্রামীণ-শহুরে বিভাজন এবং পেশার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি নির্মাণ কাজ, খনন, বস্ত্র কল ইত্যাদি ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরীক্ষা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইন্টারেক্টিভ প্রযুক্তির মাধ্যমে নিক্ষয় মিত্রদের টিবি রোগীদের সাথে যোগাযোগ করার এবং তাদের বোঝানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
ভয় নয়, সচেতনতা হোক টিবি সম্পর্কে
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আজ টিবি-র চিকিৎসা সম্ভব, তাই মানুষের মধ্যে ভয় কম হওয়া উচিত এবং সচেতনতা আরও বাড়ানো উচিত। তিনি স্বাস্থ্যবিধি এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণকে (Jan Bhagidari) টিবি নির্মূলের মূলমন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন।
WHO প্রতিবেদনে ভারতের বড় অর্জন
সভায় WHO Global TB Report 2024 এর তথ্যও উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে ভারতে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে টিবি-র ঘটনায় ১৮% এবং মৃত্যুহারে ২১% কমাতে পেরেথছে বলে দেখা গেছে। এটি বিশ্বব্যাপী গড়ের দ্বিগুণ গতি এবং ৮৫% চিকিৎসা কভারেজ নির্দেশ করে।
প্রযুক্তি এবং অবকাঠামোতে বড় বিনিয়োগ
প্রধানমন্ত্রী টিবি পরীক্ষার নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণের প্রশংসা করেছেন, যাতে এখন ৮,৫৪০ টি NAAT ল্যাব, ৮৭ টি ড্রাগ সাসপ্টিবিলিটি ল্যাব এবং ২৬,৭০০ টি এক্স-রে ইউনিট রয়েছে, যার মধ্যে ৫০০ টি AI-সক্ষম হ্যান্ডহেল্ড এক্স-রে অন্তর্ভুক্ত। আয়ুষ্মান आरोग्य মন্দির (Ayushman Arogya Mandirs)-এ বিনামূল্যে স্ক্রিনিং, চিকিৎসা এবং পুষ্টি সহায়তা जैसे টিবি পরিষেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
নতুন উদ্যোগ: AI এক্স-রে, পুষ্টি योजना এবং ডিজিটাল সমাধান
সভায় জানানো হয়েছে যে AI ভিত্তিক এক্স-রে, ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি-র জন্য ছোট চিকিৎসা এবং দেশীয় মলিকুলার ডায়াগনস্টিকের সূচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিক্ষয় পুষ্টি যোজনা (Ni-kshay Poshan Yojana) এর আওতায় ১.২৮ কোটি রোগীকে DBT-র মাধ্যমে সাহায্য করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এই পরিমাণ ₹১,০০০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২.৫৫ লক্ষ নিক্ষয় মিত্র ২৯.৪ লক্ষ খাদ্য বাস্কেট বিতরণ করেছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
এই উচ্চ পর্যায়ের সভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে. পি. নড্ডা, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ড. পি. কে. মিশ্র, শক্তিকান্ত দাস, উপদেষ্টা অমিত খরে এবং স্বাস্থ্য সচিব সহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।


