সংক্ষিপ্ত
কুলগামের মালিপুরা কানাজিগুডা এলাকার কাছেই বিএসএফের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তার পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও।
স্বাধীনতা দিবসের আগে কাশ্মীরে ফের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় হাইওয়ের উপর বিএসএফের কনভয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এই ঘটনায় বাহিনীর কেউ জখম হননি বলে জানা গিয়েছে। ওই এলাকায় কমপক্ষে তিনজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। পুলওয়ামার সময়ও হামলা চালানোর জন্য ওই একই হাইওয়েকে বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা।
আজ কুলগামের মালিপুরা কানাজিগুডা এলাকার কাছেই বিএসএফের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। তার পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। ওই এলাকায় জঙ্গিরা ঠিক কোথায় লুকিয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে সক্ষম হন সক্ষম হয় সেনা। গোটা এলাকা সেনার তরফে ঘিরে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কাশ্মীরের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, "নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে। পুলিশ, সিআরপিএফ এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন।"
আরও পড়ুন- দেশে ঢুকেছে বিশেষ আইইডি, আসছে লস্কর কমান্ডার সাদিক - ১৫ অগাস্টের আশপাশে চরম বিপদের আশঙ্কা
স্বাধীনতা দিবসের আগে উপত্যকায় ফের সক্রিয় জঙ্গিরা। ১৫ অগাস্ট যত এগিয়ে আসছে সেখানে জঙ্গিদের আনাগোনাও ততই বাড়ছে। মঙ্গলবার শ্রীনগরের হরি সিং হাই স্ট্রিটে সেনা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হন। তারপর জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের লাল চক এলাকায় বিজেপি নেতা গোলাম রসুল দার এবং তাঁর স্ত্রীর উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দু'জনেরই মৃত্যু হয়। গোলাম রসুল দার ছিলেন কুলগামে বিজেপি কিষাণ মোর্চার অধ্যক্ষ। এই হামলার পিছনে লস্কর-ই-তইবার হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- কতজন হিন্দু পণ্ডিত ফিরে পেয়েছেন পৈত্রিক ঘরবাড়ি, কী জানালো মোদী সরকার
আরও পড়ুন- গর্বের স্বাধীনতা, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আইকনিক টাইমস স্কোয়ারেরও উড়বে জাতীয় পতাকা
এছাড়া গত সপ্তাহের শনিবার কুলগামে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন এক পুলিশ কর্মী। সেখানে পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল জঙ্গিরা। তার আগে নাওহাত্তা এলাকায় গ্রেনেড হামলায় চালানো হয়েছিল।
এদিকে আর মাত্র কয়েকদিন পরই স্বাধীনতা দিবস। তার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার পরিমাণ আরও বাড়ানো হচ্ছে উপত্যকায়। সব জায়গাতেই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেনা বাহিনী।