অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি লোকসভা বিনা আলোচনায় পাশ অর্থবিল করোনা মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার দাবি নিজের কেন্দ্রে সাংসদদের লড়াইয়ের পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা আকঙ্কের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন। তবে তার আগে
কোনও আলোচনা ছাড়াই পাশ হয়ে ২০২০ সালের অর্থ বিল। ধ্বনী ভোটে পাস করা হয় অর্থবিল। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জানতে চেয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কী কী আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে সেই বিষয় এদিন পার্লামেন্টের কোনও ইঙ্গিত দেননি অর্থমন্ত্রী। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের প্রথম সারির কর্পোরেট সংস্থা গুলির কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তবে অর্থবিল পাশের আগে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তিনি কোনও আলোচনা ছাড়়াই খুব তাড়াতাড়ি অর্থবিল পাশের বিষয়টি উত্থাপন করেন। 

Scroll to load tweet…

তবে অর্থবিলের ওপর প্রায় ৪০টি সংশোধী আনা হয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল জানান জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিষদে সবকিছু আলোচনা করা সম্ভব নয়। তবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীসহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা করোনা মোকাবিলায় আর্থিক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার দাবিতে সরব হন। অধীররঞ্জন চৌধুরী সরাসরি বলেন, বিনা আলোচনায় অর্থবিল পাশে তাঁরা সম্নত। কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। 

এদিন অধিবেশনের থেকে লোকসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনতা কার্ফুর সাফল্য ও যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য তাঁকে স্বাগত জানান সংসদরা। স্পিকার ওম বিড়লাও জনতা কারফুর সাফল্যের জন্য তাঁকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, অধিবেশন শেষে সাংসদরা নিজের নিজের কেন্দ্রে ফিরে যাবেন আর করোনার সংক্রমণ রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবেন। 

আরও পড়ুনঃ 'কলকাতা বিমানবন্দর এখনই সম্পূর্ণ বন্ধ করা হোক', মোদিকে চিঠি মমতার

আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪১৫, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা প্রধানমন্ত্রীর

আরও পড়ুনঃ করোনার প্রভাব শেয়ারবাজারেও, চলতি মাসে আরও একবার ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ কেনাবেচা

যদিও ১৭ই মার্চ লোকসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন সংসদরা। কিন্তু সংসদের কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় এদিন সেই দাবি আরও জোরাল হয়।