সংক্ষিপ্ত
ঋণগ্রস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য টাটা গ্রুপ বিড জিতেছে বলে শুক্রবার সকালেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ব্লুমবার্গ আগে জানিয়েছিল যে টাটা সন্স এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করতে চলেছে।
টাটা গ্রুপ (Tata Group) নয়। শেষমুহুর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় মিডিয়া রিপোর্ট (Media reports) অস্বীকার করে ঘোষণা কেন্দ্রের (government has denied media reports)। ঋণগ্রস্থ এয়ার ইন্ডিয়ার (debt-laden Air India) জন্য টাটা গ্রুপ বিড জিতেছে বলে শুক্রবার সকালেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ব্লুমবার্গ আগে জানিয়েছিল যে টাটা সন্স এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করতে চলেছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট খারিজ করে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া ডিসইনভেস্টমেন্ট মামলায় ভারত সরকারের আর্থিক বিড অনুমোদনের ইঙ্গিত দিয়ে যে মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা ভুল।
এদিন কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে যে মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা অসত্য। এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশিত হলে, তা জানিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য টাটা গ্রুপ এবং স্পাইসজেটের চেয়ারম্যান অজয় সিং তার ব্যক্তিগত ক্ষমতায় এই মাসের শুরুর দিকে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য বিড করেছিলেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে, সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিডে অংশ নেয় চারজন। কিন্তু টাটা গ্রুপ এবং স্পাইসজেটের সিইও অজয় সিংই একমাত্র চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন।
এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের এটি দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। ২০১৮ সালের মার্চের শুরুতে রুগ্ন এই সংস্থাটিকে বিক্রির ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র। এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসানের মোট পরিমাণ ৭০ হাজার কোটিরও বেশি। কেন্দ্র সরকার প্রতিদিন এই বিমান সংস্থাকে চালানোর জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতি করে। এই বিধ্বস্ত এয়ারলাইনস একসময় দেশের আকাশে রাজত্ব করত।
আরও পড়ুন- পেনশন তোলা থেকে এটিএম কার্ডে পেমেন্ট, অক্টোবর থেকে বদলে যাচ্ছে এই সব নিয়ম
১৯৯০ সালে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির আগমন এবং ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে নো-ফ্রিল এয়ারলাইন্সের উত্থানের সাথে সাথে এয়ার ইন্ডিয়া জমি হারাতে শুরু করে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ২০০৭ সালে মিশে যায়। এই ঘটনাই এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য কফিনে চূড়ান্ত পেরেক পুঁতে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন --পিছন থেকে এক লাফে গলা কামড়ে ধরল চিতা, বাড়ির সামনে গুরুতর জখম বৃদ্ধা, দেখুন ভিডিও
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সেই মতো দরপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই সরকারি বিমান সংস্থা কেনার জন্য মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছিল। এমনকী, সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন টাটা গ্রুপ ও অজয় সিংয়ের প্রতিনিধিরাও। সূত্রের খবর, অজয় সিংয়ের হাঁকা দরের থেকে টাটা গোষ্ঠীর দর পাঁচ হাজার কোটি টাকা বেশি ছিল। সেই কারণেই সরকারের তরফে টাটা গোষ্ঠীর দর গ্রহণ করা হয়। তবে সরকার এই রিপোর্ট অগ্রাহ্য করেছে।
"