সংক্ষিপ্ত
আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য এয়ার সুবিধা ফর্ম পূরণ বাধ্যতামূলক ছিল একটা সময়ে । কিন্তু সেই বিধিনিষেধ থেকে যাত্রীদের রেহাই দিল বেসরকারি বিমান পরিবহন মন্ত্রক
কোভিডের কালো ছায়া কেটে গেল, আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য এয়ার সুবিধা ফর্ম পূরণ বাধ্যতামূলক ছিল একটা সময়ে । কিন্তু সেই বিধিনিষেধ থেকে যাত্রীদের রেহাই দিল বেসরকারি বিমান পরিবহন মন্ত্রক। সোমবার তাদের এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে এমনতাই জানিয়েছেন তারা। এয়ার সুবিধা ফর্ম হল মূলত একটি স্ব ঘোযণামূলক ফর্ম যেখানে একজন যাত্রী মূলত তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা , ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সহ আরও অন্যান্য বিষয়ক তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রকাশ করেন ভারত সরকারের কাছে । ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে বিমান সুবিধার ( এয়ার সুবিধা) এই আবেদনগুলি গ্রহণ করা হত একসময়ে । বিশ্বব্যাপী এবং ভারতবর্ষে কোভিড টিকাকরণের ফলে এই মারণরোগের সংক্রমণ কতটা কমছে বিশেষত সেই বিষয়টির পরিসংখ্যান নির্ণয়ের উদ্দেশ্যেই সরকার থেকে একসময় বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল এই ফর্ম পূরণ কিন্তু কোভিডের দাপট কমতেই এবার সে নিয়ম শিথিল করল সরকার।
এয়ার সুবিধা অনেক আগে থেকেই লাগু করেছিল বেসরকারি বিমান মন্ত্রক। কিন্তু সেসময় এই ফর্ম পূরণ করা বাধ্যতামূলক ছিল না। কোভিডের পর এটি বাধ্যতামূলক করা হয় ।এর আগে অনেক এয়ারলাইন্সই যাত্রীদের এযার সুবিধা ফর্মের ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কিছু জানাতো না। কিন্তু কোভিডের পর সমস্ত এয়ারলাইন্সই যাত্রীদের চেক-ইন কাউন্টারের সামনে এই ফর্মের ব্যাপারে অবগত করত যাত্রীদের । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে কোভিড যখন মধ্যগগনে তখন এই এয়ারলাইন্সগুলোই বোর্ডিং পাস ইস্যু করত না যদি চেক-ইন কাউন্টারে যাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা না দিতো।কিন্তু সেই নিয়ম এবার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার ।
কিন্তু এখন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকা। এগুলি নিম্নরূপ -
১. সমস্ত ভ্রমণকারী তাদের দেশ থেকে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে ঢুকছেন কিনা সে বিষয়ে অবশ্যই জানাতে হবে ভারত সরকারকে।
২. ভ্রমণের সময় কোভিড-১৯ এর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তাদের প্রটোকল অনুযায়ী অন্যান্য যাত্রীদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে।
৩. যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং উপসর্গ দেখা গেছে এমন যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল ব্যবস্থা নিতে হবে। বা যাত্রীকে সঠিক মেডিক্যাল সুবিধা পাওয়া যাবে এমন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে।
৪. সামাজিক দূরত্ব মেনে ডি-বোর্ডিং করানো হবে ।
৫. প্রবেশের স্থানে উপস্থিত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দ্বারা সমস্ত যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে ।
৬. স্ক্রিনিংয়ের সময় লক্ষণযুক্ত যাত্রীদের অবিলম্বে বিচ্ছিন্ন করে স্বাস্থ্য প্রোটোকল মেনে চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও পাঠাতে হবে।
৭. সমস্ত ভ্রমণকারীর আগমনের পরে তাদের স্বাস্থ্যের নিরীক্ষণ করা হবে এবং নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রিপোর্ট করাতে হবে বা যেকোনো জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর (১০৭৫) বা রাষ্ট্রীয় হেল্পলাইন নম্বরে কল করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
গ্রেপ্তার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এর দুই সক্রিয় সদস্য রাজেশ ও অঙ্কিত, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
চাঁদে মনুষ্যহীন মহাকাশযান পাঠাল নাসা, এই অভূতপূর্ব অভিযানের নাম দিলেন তারা আর্টেমিস প্রকল্প
গুজরাটে ভোট প্রচারে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রার তীব্র সমালোচনা, মোদী বললেন- 'আমি নিছকই একজন ভৃত্য'