সংক্ষিপ্ত
১৫ জুলাই ফের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। রিপোর্ট অনুযায়ী শীঘ্রই বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
কিছুদিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক আয়োজিত হয়। আগামীকাল ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলা বৈঠকে ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে, এমন আশাতেই রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্যে। সেখানে ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মচারীদের পে কমিশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী সেই বৈঠকে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি বাস্তবায়নের ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই বেতন বৃদ্ধি পাবে বলে জল্পনা চলছিল। এরই মাঝে ১৫ জুলাই ফের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। রিপোর্ট অনুযায়ী শীঘ্রই বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বহুদিন যাবৎ বেতন এবং ডিএ-র হার সংশোধনের দাবি তুলে আসছেন সেই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। নতুন বেতন কমিশনের আওতায় মাইনে বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করলেও ভোটের আগে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক মাস ধরেই নতুন বেতন কমিশনের অধীনে বেতন ডিএ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে কর্ণাটকের সরকারি কর্মচারীরা। সে রাজ্যের ৫ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এব লক্ষাধিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী রাজ্য সরকারের দিকে মুখ চেয়ে বসে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানা যায়। তারপর থেকেই খুব শীঘ্রই সপ্তম পে কমিশন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে যে রাজ্য প্রস্তুত সেই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শাসকদলের নেতারাই। গত ১৬ মার্চ রাজ্যের সপ্তম বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়েছিল রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে।
সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানো হোক বলে সুপারিশ করা হয়েছিল। এদিকে সরকারও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন অন্তত ১৭,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭,০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই তাদের বহুদিনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে বলে আশায় বুক বেঁধেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।